দিনাজপুর প্রতিনিধি
আলু কেজিতে কমতে পারে ৫-৬ টাকা
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও আমদানি শুরু হয়েছে আলু। আড়াই মাস পর গত বুধবার ভারতের কোচবিহার থেকে দুই ট্রাকে ৫৭ টন কার্ডিনাল জাতের আলু আনা হয়েছে। এতে বাজারে কিছুটা স্বস্তি মিলবে, কেজিতে দাম কমতে পারে ৫-৬ টাকা। দেশের বাজারে দাম আরো কমিয়ে আনতে আলু আনা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি কারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী গত বুধবার রাত ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দেশের বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে ভারত থেকে ব্যবসায়ীরা আলু আমদানি করছেন। তিনি বলেন, বুধবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ৫টি ট্রাকে ১০৮ টন আলু আমদানি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ভারতে আলুর দাম বাড়ায় আমদানি করে খুব বেশি লাভ হতো না বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের। এ কারণে আড়াই মাস বন্ধ ছিল অতিপ্রয়োজনীয় এ সবজি আমদানি। তবে সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশটির অভ্যন্তরে দাম কমায় এবং বাংলাদেশ সরকার শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণ করায় লাভের আশায় আবারও আমদানি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। ১৮০ ডলার ও ৩ শতাংশ হারে শুল্কায়নে যে মানের আলু আমদানি করে কেজিতে খরচ পড়ছে ৪০ টাকা। সেই মানের আলু দেশের বাজারে ৫০ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে ৫-৬ টাকা দাম কমতে পারে।
হিলি স্থলবন্দর সিএনএফ এজেন্ট পারভেজ হোসেন বলেন, ভারত সরকার যেহেতু আলুর ক্ষেত্রে শুল্ক কমে দিয়েছেন দেশে আলুর বাজার ঊর্ধ্বগতি চলমান রয়েছে। এসব বিবেচনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভারত থেকে আলু আমদানি করতে ব্যবসায়ীদের অনুমতি দিয়েছেন। বাজারে আমদানি বাড়লে আলুর বাজার দর নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। সে কারণেই ভারত থেকে ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ আড়াই মাস পর বুধবার ৫টি ট্রাকে এ আলু আমদানি করেছেন। সর্বশেষ গত ৮ জুলাই ভারত থেকে আলু আমদানি করা হয়েছিল। বর্তমানে ভারতে আলু মূল্য কম থাকায় দিনাজপুরসহ দেশের অন্য জেলা ও ঢাকা রাজধানী থেকে ব্যবসায়ীরা আলু আমদানির ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমদানি করতে উৎসাহ দিচ্ছেন।
"