নিজস্ব প্রতিবেদক
‘এক দিনে ৮ হাজার মশার প্রজননস্থল ধ্বংস’
সারা দেশে এক দিনে ৮ হাজার ৩৮০টি মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি সিটি করপোরেশনে ৮ হাজার ১০৫টি এবং পৌরসভার ২৭৫টি মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা হয়। চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় মশক নিধন অভিযান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের গঠিত মনিটরিং টিম, সব সিটি করপোরেশন ও ঝুঁকিপূর্ণ পৌরসভায় ২ হাজার ৭১০ জন মশককর্মী কাজ করছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
ড্রাম ভাঙ্গা পাত্র, নির্মাণাধীন ভবন, ফুলের টব ও লিফটের গর্তে জমে থাকা পানি পাওয়ার কারণে খুলনা সিটি করপোরেশনে ৫টি এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ৬টিসহ মোট ১১টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মামলা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে সতর্কীকরণ নোটিস জারি করা হয়েছে ৪৩টি, যেখানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৪টি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৮টি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ২টি এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে ১৯টি সতর্কীকরণ নোটিস জারি করা হয়েছে।
ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং, লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া দেশব্যাপী ডেঙ্গু প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতার লক্ষ্যে খুদে বার্তা (ঝগঝ) সব মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। খুদে বার্তাটি হলো- ‘নিয়মিত প্রতিদিন, জমা পানি ফেলে দিন। নিজ আঙিনা পরিষ্কার রাখি, ডেঙ্গুমুক্ত দেশ গড়ি। জমা পানি সর্বনাশা, এডিস মশা বাঁধে বাসা। সহজ উপায়ে কেরোসিন, জমা পানিতে ঢেলে দিন।’
"