কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
ইকো পার্কের জায়গা দখল
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে প্রস্তাবিত ইকো পার্কের ফলক উন্মোচনের ১ বছর পর দুষ্কৃতিকারীরা ফলক ভেঙে জায়গা দখল করে সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকায় গেলে দেখা যায় পুরো জায়গা দখল করে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়েছে। এদিকে, দখলকৃত জায়গা উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন স্থানীয়রা।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকায় দৃষ্টিনন্দন টিলাভূমিতে উপজেলা প্রশাসন ইকো পার্কের ফলক উন্মোচন করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমানে এলাকার কিছু চিহ্নিত দুষ্কৃতকারী উদ্বোধনকৃত নেইমøইটটি ভেঙে মাটি কেটে গাছ লাগিয়ে বাঁশের বেষ্টনী দিয়ে দখল করে নিয়েছে।
দখলকারীরা হলেন উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে একাধিক মামলার আসামি কনা মিয়া, খুরশেদ মিয়া (খুশিয়া), বাবুল মিয়া, বারিক মিয়া, মৃত ছমদ মিয়ার ছেলে ফটিক মিয়া, মৃত ময়না মিয়ার ছেলে রইছ মিয়া, মৃত আবদুর রহিমের ছেলে আলতাফ হোসেন ও ফারুক মিয়া স্ত্রী রোকেয়া বেগম।
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকায় ১৮.৩০ একর জায়গা নিয়ে প্রস্তাবিত ইকো পার্কের ফলক উন্মোচন করেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত উদ্দিন, সহকারী কমিশনার ভূমি সুমাইয়া আক্তার ও কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকায় ১৮.৩০ একর জায়গা নিয়ে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন টিলা ভূমিতে ‘কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ইকো পার্ক’টি দখল করা হয়েছে। উদ্বোধনের পর মনে হয়েছিল আমাদের এলাকার রূপ পরিবর্তন হয়ে যাবে। কিছু দুষ্কৃতকারীরা তা দখল করে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে বেড়া দিয়েছে। দ্রুত দখলকৃত জায়গাগুলো উদ্ধার করার দাবি জানান তারা।
ইকো পার্কের জায়গা দখলের সত্যতা স্বীকার করে কনা মিয়া বলেন, ‘জায়গা সরকারের, কিন্তু ইকো পার্কের নাম করে কিছু মানুষ দখল করার চেষ্টা করছে। সেজন্য আমরা এখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করেছি। সরকারের যখন দরকার তখন নেবে।’
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডি এম সাদিক আল শাফিন জানান, ‘ইকো পার্কের জায়গাটি দখলের বিষয়টি শুনেছি। তাছাড়া স্থানীরা একটা লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদীন জানান, ‘দখলের বিষয়ে এলাকাবাসীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
"