ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা পুনর্বিবেচনা করুন : ফখরুল

সেনাবাহিনীকে দুই মাসের জন্য বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে অন্তবর্তী সরকারকে পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবে জেলা বিএনপির আয়োজনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সাহায্য দান অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে (বিচারিক ক্ষমতা)। তার মানে এই যে প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে পারছে না। আমি মনে করি সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার সেসব এলাকায় দেওয়া দরকার যেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু যে এলাকাগুলো শান্তিপূর্ণ আছে, স্থানীয় রাজনীতিক নেতাকর্মীরা সব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করছেন সেসব এলাকায় মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি করা সমুচিন হবে না বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করবো তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনায় নেবেন এবং তারা কখনোই এমন কোনো ব্যবস্থা নেবেন না যা সামগ্রিকভাবে দেশের মানুষের জন্য অসুবিধা হবে। আমি কথাটা স্পষ্ট করে বলছি কারণ এটা বলা দায়িত্ব আমার।

তিনি আরো বলেন, আমরা ১৫-১৬ বছর ধরে ত্যাগ স্বীকার করছি, মার খাচ্ছি, জেলে যাচ্ছি, শুধু এ ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে সরিয়ে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা এখন সবাই আশাবাদী হয়ে উঠেছি নতুন অন্তর্বর্তী সরকার যারা এই জঞ্জালকে দূর করে দেশে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবে এবং সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে জনগণের একটি পার্লামেন্টন তৈরি হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে মির্জা ফখরুল আহ্বান করে বলেছেন, সব দিক বিবেচনা করে সত্যিকার অর্থে যেন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দেখতে পাই। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার দেখতে পাই। মানুষের ওপর যেন অন্যায়-অত্যাচার না হয়। শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য আর যেন শিশুদের গুলি করে হত্যা না করা হয়। আমি জানি আমার কথা অনেকের মনমতো নাও হতে পারে। কিন্তু সত্য উচ্চারণ করা আমার দায়িত্ব। তাই আমি উচ্চারণ করে বলছি যে আপনারা সে কাজগুলো করেন যাতে একটা সংঘাতহীন ভবিষ্যৎ, সন্ত্রাসমুক্ত ভবিষ্যৎ এবং মানুষের অধিকার যুক্ত ভবিষ্যৎ আমরা দেখতে পারি। আমরা বিশ্বাস করি রাজনৈতিক অবস্থায় ফিরে আসা, রাজনীতিবিদদের রাজনীতি কাজ করতে দেওয়া একমাত্র সমস্যার সমাধান।

আন্দোলনে আহত ও নিহতদের স্বজনদের শেখ হাসিনার বিচার দাবির কথা শুনে মির্জা ফখরুল বলেন, এ অনুষ্ঠানটা আমার জন্য অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনে গিয়ে এখানে অনেকেই চোখ হারিয়েছেন, পা কেটে ফেলতে হয়েছে। অনেকে তাদের আপনজন হারিয়েছেন। আমরা ৭১-এ যুদ্ধ করেছিলাম পাকিস্তানের সঙ্গে। কিন্তু ২০২৪ আমাদের যুদ্ধ করতে হয়েছে এ দেশের সরকারদলীয় লোকদের সঙ্গে। এ সময় তিনি আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা ও তাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানান এবং আহত ও নিহতদের পরিবারের মাঝে ১৫ লাখ নগদ অর্থ তুলে দেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close