চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে লাইসেন্স নেওয়া সব আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই ১০৭টি অস্ত্র জমা দিয়েছেন মালিকরা। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে লাইসেন্স নেওয়া আগ্নেয়াস্ত্র¿গুলো ৫টি থানায় জমা দেন মালিকরা। সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে আগ্নেয়াস্ত্রগুলো জমা নেওয়া হয়।

পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ডিআইও-১ পরির্দশক মো. ওবাইদুল হক বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে লাইসেন্স নেওয়া বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র আছে, যেগুলো জেলার বাইরে ব্যবহৃত হয়। ওই সব অস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশের কাছে ইনফরমেশন স্লিপ জমা দিয়েছেন। বাকিরা নিজে এসে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে সরকারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিনিধির মাধ্যমেও আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল। তাই যারা আত্মগোপনে আছেন বা অন্য কোনো কারণে আসতে পারেননি তারা প্রতিনিধির মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, ১৫ বছরের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০৯ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুজন লাইসেন্স নিলেও আগ্নেয়াস্ত্র কেনেননি। ১০৭ জন সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসনের সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে যেসব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয় তার বেশিরভাগই রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও সরকারি-বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্যও নেওয়া হয় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স।

"