চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামে জমা পড়েনি ১২৫ অস্ত্র, অভিযানেও উদ্ধার হয়নি
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে গত ১৫ বছরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ৮৪২টি অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সেগুলোর মধ্যে ৭২৭টি জমা পড়েছে থানাগুলোয়। এখনো ১২৫টি বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়া হয়নি। অস্ত্র উদ্ধারে মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে শুরু হয়েছে যৌথ অভিযান। এ অভিযানে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে কোনো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যেসব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছিল সেগুলো ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেয়। ২৫ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর থানাগুলোয় অস্ত্র জমা পড়েছে ৩৮৪টি। তবে নগরীতে অস্ত্রের লাইসেন্স আছে ৪৫৪টি। জেলার থানাগুলোয় ৩৮৮টি অস্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও জমা পড়েছে ৩৩৩টি অস্ত্র।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, ‘নগরীতে যে ৩৮৪টি অস্ত্র জমা পড়েছে সেগুলোর মধ্যে কোতয়ালি থানায় জমা হয়েছে ৫৩টি, বাকলিয়ায় ৫টি, সদরঘাটে ২১টি, চকবাজারে ৩১টি, চান্দগাঁওতে ২৫টি, পাঁচলাইশে ৯৫টি, খুলশীতে ৭০টি, বায়েজিদে ৮টি, ডবলমুরিংয়ে ১৯টি, হালিশহরে ১৭টি, পাহাড়তলীতে ৯টি, আকবরশাহে ২টি, বন্দরে ১২টি, ইপিজেডে ৭টি, পতেঙ্গায় ৩টি ও কর্ণফুলীতে ৭টি অস্ত্র জমা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘খুলশী থানায় জমা হওয়া ৭০টি অস্ত্রের মধ্যে ৪৬টি ওই থানার লাইসেন্সপ্রাপ্ত। বাকিগুলোর ৪টি সিএমপির বিভিন্ন থানার এবং অন্য জেলার ২০টি। পাহাড়তলী থানার অনুকূলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি অস্ত্র ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানায় জমা আছে। আরেকটি অস্ত্র সিএমপির পাঁচলাইশ থানায় জমা পড়েছে।’
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলার থানাগুলোয় গত ১৫ বছরে ৩৮৮টি অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩৩৩টি অস্ত্র জমা পড়েছে। বাকি অস্ত্রের বিষয়ে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর নগরীর বিভিন্ন থানা এবং পুলিশের স্থাপনায় হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। সে সময় নগরীর থানাগুলো থেকে ৮১৫টি অস্ত্র লুট হয়েছিল। সেগুলোর মধ্যে ৬১৭টি উদ্ধার হয়েছে। এখনো ১৯৮টি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এসব অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।
"