খুলনা ব্যুরো

  ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মহানবীকে কটূক্তি করায় যুবককে গণপিটুনি

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটূক্তি করায় এক যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার দ্বিতীয় ফেজে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

উৎসব মন্ডল (১৮) নামে ওই যুবককে মঙ্গলবার রাতে উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি দেয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে গণপিটুনিতে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লেও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের কারণে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। ফলে তার শেষ পরিণতি নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, ওই যুবককে বিক্ষুব্ধ জনতা গণপিটুনি দেয়। তবে তার মৃত্যু হয়েছে- নাকি জীবিত আছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ সেনা সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে তাকে নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনার আযমখান সরকারি কমার্স কলেজের ছাত্র উৎসব মন্ডল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি করে। সন্ধ্যায় সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা তাকে ধরে নিয়ে খুলনার মেট্রোপলিটনের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ) তাজুল ইসলামের কার্যালয় নিয়ে আসে। সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তাকে বের করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা একাধিক ব্যক্তি তাকে পিটুনি দেয়।

আযম খান কমার্স কলেজের ছাত্র আরিফ বলেন, ‘ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে, এত সাহস কোথায় পায়? যে আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করে। ওকে আমি আগে সাবধান করছি। ও আমার কথা শুনেনি।’

সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ও ছাত্র রুহুল আমিন বলেন, সে যে ভাষায় গালিগালাজ করছে নবীকে মানুষ মানুষকেও এ ভাষায় গালিগালাজ করে না।

এ সময় টহলে আসা সেনা কর্মকর্তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য জনগণকে আশ্বস্ত করেছিলাম। তবে উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দেয়।

স্থানীয় লোকজন জানান, কলেজছাত্র উৎসব মন্ডল মহানবীকে (সা.) নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটূক্তি করেন। বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে খুঁজে বের করে ধরে নগরীর সোনাডাঙ্গায় ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের (সাউথ) কার্যালয়ে নিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে শত শত লোক গিয়ে ওই কার্যালয় ঘেরাও এবং বিক্ষোভ শুরু করে। ক্ষিপ্ত জনতা কটূক্তিকারীকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে তাদের শান্ত করার প্রাণপণ চেষ্টা করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close