চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

লোকবলের অভাবে মিলছে না স্লুইসগেটের সুফল

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প : ২৩টির নির্মাণকাজ শেষ হলেও পরিচালনার লোক নেই * এখনো বাকি ১৮টির কাজ

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের দুটি সংস্থার ৪১টি স্লুইসগেটের মধ্যে এখনো ১৮টির কাজ শেষ হয়নি। আর যেগুলো নির্মাণ শেষ হয়েছে সেগুলো পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত জনবল নেই। এর ফলে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সুফল নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সংস্থাগুলো ব্যয় করছে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলছে প্রকল্পের কাজ। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে না। বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে। এ ৪টি সংস্থার কাজের মধ্যে স্লুইসগেট নির্মাণ অন্যতম।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড আলাদা আলাদা ২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত সংস্থা দুটি ৪১টি স্লুইসগেট নির্মাণ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে ২৩টি।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৪১টি স্লুইসগেটের মধ্যে ১৮টি স্লুইসগেট নির্মাণ করছে সিডিএ। ১৮টি স্লুইসগেটের মধ্যে ৬টি স্লুইসগেট নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। এর মধ্যে ২৩টি স্লুইসগেট নির্মাণ করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড কর্তৃক নির্মাণাধীন ৬টি স্লুইসগেটের মধ্যে ৫টি স্লুইসগেটের নির্মাণকাজ শেষ। বাকি একটির কাজ শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। তবে এসব স্লুইসগেট পরিচালনার জন্য জনবল চেয়ে চিঠি দিলেও সাড়া মেলেনি।

জনবল সংকট নিয়ে সিডিএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, মহেশ খাল, কলাবাগিচা, মরিয়মবিবি, ফিরিঙ্গিবাজার ও টেকপাড়া খালে স্লুইসগেট নির্মাণ শেষে স্লুইসগেটগুলোর কার্যক্রম চলছে। তবে এখনো সেখানে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ঠিকাদারদের লোকবল দিয়ে স্লুইসগেটগুলো ওঠাণ্ডনামা করা হচ্ছে। এসব স্লুইসগেট ও পাম্প অপারেটর করার জন্য দক্ষ জনবলের প্রয়োজন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close