বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ
চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে ফটকে তালা, ২৮ বিভাগের কার্যক্রম স্থবির
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণ দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সচেতন নাগরিক সমাজ। জেলা পরিষদ ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এতে জেলা পরিষদের অধীনে ২৮টি সরকারি বিভাগের কার্যক্রম অনেকটা বন্ধ হয়ে গেছে।
গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া অবস্থান ধর্মঘটের কারণে গতকাল বুধবারও অফিস করতে পারেননি জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বর্তমান পার্বত্য জেলা পরিষদ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জর্জরিত অভিযোগ সচেতন নাগরিক সমাজের। এ কারণে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা ও সদস্যদের অপসারণ করে নতুন চেয়ারম্যান-সদস্য নিয়োগের দাবি জানানো হয় অন্তর্র্বর্তী সরকারের কাছে।
অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেওয়া বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ দুর্নীতি ও অনিয়ম চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সাধারণ জনগণ এসব জায়গা থেকে কোনো সেবা পাচ্ছেন না। বৈষম্যমূলক নিয়োগ, অস্তিত্ববিহীন ভুয়া প্রকল্প বানিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন দুর্নীতিতে লিপ্ত জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ ছাড়া অবৈধ উপায় অবলম্বন করে যেসব অপকর্ম ও দুর্নীতি করেছেন, সেগুলো বৈধ করতে তিনি অফিসে না এসেও আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় সরকারি ফাইলে স্বাক্ষর করে যাচ্ছেন। তাই ফাইলে স্বাক্ষর করা বন্ধ করে, অতি দ্রুত বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের দুর্নীতিগ্রস্ত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অব্যাহতি দিয়ে নতুন চেয়ারম্যান-সদস্য নিয়োগের দাবি জানানো হয়।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান বলেন, বান্দরবানের সচেতন নাগরিক সমাজসহ এই দাবি বান্দরবানবাসীর। পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, প্রতিদিন কর্মকর্তারা অফিস করতে এলেও অবস্থান ধর্মঘটের কারণে অফিসে প্রবেশ করতে পারছেন না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
"