নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ নভেম্বর, ২০২৩

১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ

দেশের ৪৬টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ।’ দেশীয় স্টার্টআপ খাতকে আরো বলিষ্ঠ করতে এই বিনিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠার পর এই সরকারি প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত ২৮টি স্টার্টআপের জন্য ৭৩ কোটি ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে ৬৪ কোটি টাকা এরই মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য, কৃষি ও শিক্ষা খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার, লজিসটিকস, ফিনটেক, ই-কমার্স ও টেকসই জ্বালানি- এসব গুরুত্বপূর্ণ খাতে এই অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। স্টার্টআপ বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদ এরই মধ্যে ১১টি স্টার্টআপে বিনিয়োগ অনুমোদন করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সাজগোজ, জাহাজি, ডানা-ফিনটেক, হিসাব, বাড়ি কই, অন্য, লুজলি ক্যাপলড, এলিস ল্যাবস, উইগ্রো, সেবা প্ল্যাটফর্ম লিমিটেড ও ফ্যাব্রিক লাগবে। এই ১১ প্রতিষ্ঠানে ১৮ কোটি বিনিয়োগের চুক্তির বিষয়ে এখন কাজ চলছে। আরো ৩৫ স্টার্টআপে ৭৫ কোটি টাকা বিনিযোগের অনুমোদনও প্রক্রিয়াধীন আছে। আরো সাড়ে ৯ কোটি টাকা ১১টি প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আগে অনুমোদন পেলেও এই স্টার্টআপগুলোতে এখনো অর্থ বণ্টন করা হয়নি।

২০২০ সালের মার্চে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড নামের এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম। শুরুতে এর অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ ছিল মাত্র ৫০ কোটি টাকা, বর্তমানে যা বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে স্টার্টআপগুলোর জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখে বাংলাদেশ সরকার। স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডকে এই বরাদ্দ থেকে বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়।

৪৬টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানে নতুন বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে কোম্পানিটি। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে সম্প্রতি টাকা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সামি আহমেদ।

২০২০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৮ কোম্পানিতে মোট ৭৩ দশমিক ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৬৪ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। কৌশলগত এসব বিনিয়োগ হেলথটেক, এগ্রিটেক, এডটেক, লজিস্টিকস, ফিনটেক, ই-কমার্স ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে করা হয়েছে।

এসব খাতে আরো প্রবৃদ্ধির অনুমান করে, নতুন করেও একই ধরনের স্টার্টআপ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

অর্থ বিভাগে পাঠানো চিঠিতে সামি আহমেদ বলেছেন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের বিনিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রাখতে এবং কোম্পানির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে আরো ১০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। তিনি আগের বিনিয়োগ কোথায় কত টাকা করা হয়েছে, সে তথ্য জানিয়ে নতুন বিনিয়োগের তহবিল চেয়েছেন।

অর্থ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, বিনিয়োগ চাহিদা পূরণে স্টার্টআপ বাংলাদেশকে অর্থায়ন করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্রুত অর্থ ছাড় করা হবে। এর মাধ্যমে দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম শক্তিশালী করতে সরকারের উদ্যোগ নেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

সরকারের এই ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ যেসব কোম্পানি পেয়েছে তারা বলছে, স্টার্টআপ বাংলাদেশের বিনিয়োগের ফলে তাদের আর্থিক সক্ষমতা যেমন বেড়েছে, তেমনি দেশি-বিদেশি সেবাগ্রহীতা ও বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানির গ্রহণযোগ্যতাও বেড়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close