নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ নভেম্বর, ২০২৩

সাগর-রুনি হত্যা

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পেছাল ১০৩ বার

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১০৩ বারের মতো পিছিয়েছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিন ছিল। তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ঠিক করেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজেদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ড সেসময় দেশব্যাপী; বিশেষ করে সাংবাদিকদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তখন থেকে তারা নিহত সাংবাদিক দম্পতির হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে আসছে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার একজন উপপরিদর্শক। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সাগর-রুনির স্বজনদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবেই একযুগ পেরিয়ে যাওয়ার পরও আটকে আছে মামলাটির কার্যক্রম। তাদের ক্ষোভ, সরকার আন্তরিক না হলে তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন করলেও ফল আসবে না। সাংবাদিক দম্পতির স্বজনদের দাবি, এতবার তারিখ পেছানোর মধ্য দিয়ে মামলাটিতে তদন্ত সংস্থার ব্যর্থতা প্রকাশ পাচ্ছে। তবে র‌্যাবের দাবি, মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনাস্থলে আলামত না পাওয়া এবং বিদেশ থেকে ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট আশাব্যঞ্জক না হওয়ায় এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। আদালতে প্রতিবারই এ বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয় এবং এ কারণেই আদালত অধিকতর তদন্তের জন্য সময় দিচ্ছেন।

নিহতের পরিবার কী বলছে : গত আগস্ট মাসের শুরুর দিকে মামলাটির শততম প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ পেছানো হয়। তখন মামলার বাদী মেহেরুন রুনির ভাই নওশাদ আলম রোমান বলেন, র‌্যাব আদৌ মামলাটির তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দিতে পারবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। যদি তারা দিতে পারত, তাহলে অনেক আগেই দিয়ে দিত। নওশাদ আলম রোমানের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে আলামত জব্দ করা হয়েছে। যদিও র‌্যাব বলছে, আলামত অনেকাংশেই নষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে। অধিকতর তদন্তের জন্য তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন বা অন্য কোনো সিদ্ধান্ত আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ীই হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close