বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

  ১৭ নভেম্বর, ২০২৩

প্রাচীন ঐতিহ্যের সাক্ষী বিরামপুরের সাগরদিঘী

দিনাজপুরের বিরামপুরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো প্রাচীন ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে আছে ‘সাগরদিঘী’। এ দিঘীর চারপাশের পাড়, বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। আর এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন ভিড় করছেন দর্শনার্থী। এটি সংস্কার ও যাতায়াতের রাস্তাঘাট নির্মাণ করলে পর্যটকের সমাগম বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় কশবা গ্রামের খিয়ার মাহমুদ, কালাম ও কুদ্দুস বলেন, দিঘীটি এলাকার ঐতিহ্যবাহী। আমাদের বাপ-দাদার জন্মের বহু আগে খনন করা হয়েছে। এটি সংস্কার ও অবকাঠামোর নির্মাণ করা হলে এর সৌন্দর্য বাড়বে। পাশাপাশি দর্শনার্থীর সমাগমও বৃদ্ধি পাবে বলে মত তাদের। প্রায় ১৬০ বিঘা জমি নিয়ে আছে এ দিঘী। এর পানি স্বচ্ছ। সাগরদিঘীর দক্ষিণে একটি স্লুইসগেট আছে। পাশের বিলসহ আরো একটি ঐতিহ্যবাহী দিঘী রয়েছে, যা ‘ভাঙা দিঘী’ নামে পরিচিত। সাগরদিঘী দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে জোতবানী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে সীমান্তবর্তী পাটনচড়া বাজারের পাশে কসবা সাগরপুর গ্রামে অবস্থিত। উপজেলায় যতগুলো বড় ও আকর্ষণীয় দিঘী রয়েছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।

জনশ্রুতি রয়েছে, পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথমাংশে তৎকালীন স্থানীয় কয়েকজন জমিদার মিলে এ সাগরদিঘী খনন করেছিলেন। তারা এখানে গোসল করতেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে সাগরদিঘীতে পূজা-অর্চনা করতেন। জোতবানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক বলেন, ইতিহাস-ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিরামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী পাটনচড়া বাজারসংলগ্ন কসবা সাগরপুর গ্রামে সৌন্দর্যে ভরা প্রাচীনতম এ সাগরদিঘীর অবস্থান। দিঘীর পাড়গুলো শান বাঁধাই, অন্যান্য সংস্কারকাজ ও অবকাঠামোর নির্মাণ করলে এটি পিকনিক স্পট হতে পারে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close