প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
গাজার আল-শিফা হাসপাতাল
ইসরায়েলি সেনা-ট্যাংকের হানা
হামাসের ঘাঁটি অভিযোগ তুলে গাজার আল-শিফা হাসপাতালের ভেতরে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ নভেম্বর) ভোর ৫টায় অসংখ্য ট্যাংক ও শতাধিক কমান্ডো সেনা ঢুকে পড়ে হাসপাতালটির ইমার্জেন্সি বিভাগে। এতে সেখানে থাকা হাসপাতাল কর্মী, রোগী ও আশ্রয় নেওয়া বেসামরিক লোকজন জিম্মি হয়ে পড়ে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় ইসরায়েলি বিমান হামলার কারণে ও বিদ্যুৎ-জ্বালানির অভাবে চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে গেছে কয়েক দিন আগেই। এতে সেখানে থাকা অসংখ্য রোগী মারা যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গণকবরে মঙ্গলবার দাফন করেছে অন্তত ১৭৯ জনকে। একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, সেখানে ২০০ জনকে দাফন করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৪০ দিন ধরে যুদ্ধে গুরুতর আহত হয়ে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেলেও তাদের সরিয়ে নেওয়ার পরিস্থিতি নেই।
এরই মধ্যে আল-শিফায় ট্যাংক নিয়ে ঢুকে পড়ে ইসরায়েলি কমান্ডোরা। গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাসপাতালের ভেতরে এখনো কমপক্ষে ২৩০০ মানুষ অবস্থান করছে, তাদের মধ্যে ৬৫০ জনের মতো রোগী, ২৫০ থেকে ৫০০ জন হাসপাতাল কর্মী এবং বেসামরিক লোক রয়েছেন প্রায় ১৫০০ জন।
আল-শিফা হাসপাতালে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী খাদের জানোন জানিয়েছেন, আমি হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে ছয়টি ট্যাংক এবং শতাধিক কমান্ডো সৈন্যকে দেখেছি। কিছু সৈন্য মুখোশ পরা ছিল।
ইসরায়েলের দাবি, হাসপাতালটিকে হামাস একটি ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং তাদের একটি সক্রিয় ঘাঁটি হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গে রয়েছে। যদিও হামাস বরাবরই ইসরায়েলের দাবি অস্বীকার করছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রও মঙ্গলবার বলেছে, গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে, আল শিফার নিচে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের অস্ত্র ঘাঁটি রয়েছে এবং আল-শিফা থেকেই তারা কমান্ড পরিচালনা করে। যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবির পরই সবুজ সঙ্কেত পেয়ে সেখানে অভিযান শুরু করল ইসরায়েলি বাহিনী।
যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন নেতানিয়াহুকে ফোন করে বলেছেন, হাসপাতালের ভেতরে আমরা কোনো গুলির শব্দ কিংবা বিমান হামলা দেখতে চাই না।
"