নিজস্ব প্রতিবেদক
ভিসানীতি নিয়ে ভাবছে না র্যাব
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, র্যাব ভিসানীতি নিয়ে ভাবছে না। জঙ্গি ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে র্যাব সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ভিসানীতি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভেতরে অস্বস্তি কাজ করেছে- র্যাবের ভেতরে কোনো অস্বস্তি আছে কিনা জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাবের ৭ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, যা বহাল আছে। তাই বিষয়টি (ভিসানীতি) নতুন নয়। আমরা মনে করি র্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করছে। আমরা আগের মতোই কাজ করে যাচ্ছি। ভিসানীতি সুনির্দিষ্ট একটি দেশের বিষয়। তারা তাদের বিবেচনায় কাজ করছে। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। কমান্ডার মঈন বলেন, র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেপ্তার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার মতো নতুন একটি জঙ্গি সংগঠন নির্মূল করেছে র্যাব। ভিসানীতি নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আমরা আমাদের কাজ করছি।
নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন আশঙ্কা করছে অস্ত্রের ঝনঝনানি বাড়তে পারে। এ বিষয় র্যাবের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ডার খন্দকার মঈন বলেন, ‘র্যাবের ম্যান্ডেট হলো অস্ত্র, জঙ্গি, মাদক ও সন্ত্রাস দমন। এটা শুধু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাজ করছি তা না। আমরা যখনই তথ্য পাচ্ছি বা অবৈধ অস্ত্র বহন, ব্যবহারের তথ্য পেলে সেটা দেশের যে প্রান্তেই হোক আমরা কাজ করি। গত সপ্তাহে যশোর থেকে ছয়টা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আমরা নির্বাচন না, যেকোনো সময় হোক জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘কিছু ব্যক্তি বা মহল মনে করে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের জনসমর্থনের পাশাপাশি পেশিশক্তির প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করা বা সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অস্ত্রের ব্যবহারের চেষ্টা থাকতে পারে। তবে এ বিষয়ে আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছেন।’
আসন্ন নির্বাচনে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের জামিনের তথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার মঈন বলেন, ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের জামিনে বের হওয়ার তথ্য সরাসরি আমরা পাই না। পাওয়ারও কথা না। অনেক ক্ষেত্রে কারা কর্তৃপক্ষ বা কারা পুলিশের কাছ থেকে পুলিশ সদর দপ্তর জামিনের তথ্য পেয়ে থাকে। আমরা আমাদের গোয়েন্দাদের মাধ্যমে তথ্য পেলে বড় ধরনের সন্ত্রাসীদের নজরদারিতে রাখি।’
তিনি আরো বলেন, ‘র্যাবের জনবল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সন্ত্রাসীদের বিষয়ে কোনো তথ্য পেলে আমরা কাজ করি। জামিনে বের হয়ে এসে আবারও অপরাধ করছে কিনা আমরা তা পর্যবেক্ষণ করছি।’
"