সিলেট ব্যুরো

  ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে আরো ২ জনের মৃত্যু

সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরো দুজন মারা গেছেন। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে একজন ও আগের রাতে একজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হলো। দগ্ধ আরো পাঁচজন এখনো চিকিৎসাধীন।

সবশেষ মারা যাওয়া দুজন হলেন সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাঈল এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ (৩২) ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাঁওয়ের অর্জুন দাসের ছেলে বাদল দাস (৪১)।

এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক এবং ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২) একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, তারেক ও বাদল উভয়ের শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

গত ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরের মিরাবাজার এলাকার বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের একটি বাল্ব বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লেগে যায়। এতে ওই ফিলিং স্টেশনের ৭ জন কর্মচারী ও ২ জন পথচারী দগ্ধ হন। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ১৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, পাম্প বন্ধ রাখার নির্ধারিত সময়েও খোলা ছিল বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফিলিং স্টেশনটির কমপ্রেশার কক্ষের একটি সেফটি বাল্ব বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় কমপ্রেশার মেশিনসহ আশপাশের যন্ত্রপাতিতে আগুন ধরে যায়।

সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার বেলাল আহমদ বলেন, ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি ছিল। এ কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

তবে ফিলিং স্টেশনটির স্বত্বাধিকারী আফতাব আহমদ লিটন বলেন, সন্ধ্যার পর গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। ওই সময় কার্যক্রম শেষ করে সবাই পাম্প বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কমপ্রেসার কক্ষের একটি বাল্ব চেক করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close