সংসদ প্রতিবেদক
সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ
সড়ক সংস্কার কাজ এক প্রতিষ্ঠানের কবজায়
অভিযোগ উঠেছে সড়কের সংস্কার কাজসহ যেকোনো কাজের ইজারা নিয়েছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কোনো টেন্ডার হলেই ঘুরেফিরে ওই প্রতিষ্ঠানটি কাজটি পেয়ে যায়। তবে প্রতিষ্ঠানটির নাম প্রকাশ করা হয়নি।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার সুপারিশ করেছে।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এই মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নানের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য মো. আবু জাহির, মো. ছলিম উদ্দীন তরফদার, সেখ সালাহউদ্দিন, রাবেয়া আলীম ও মেরিনা জাহান বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রমের অগ্রগতি; সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কুমিল্লা জোনের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর সার্বিক কার্যক্রমের সর্বশেষ অবস্থা এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। তা ছাড়া প্রকল্পের কাজগুলোর অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করতে কমিটি সুপারিশ করে।
পরে একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কীভাবে বার বার টেন্ডারের কাজ পেয়ে থাকে সে রহস্য উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে একটি তদন্ত প্রতিবেদন আগামী সভায় উপস্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।
মতিঝিল বিআরটিসি ডিপো সংলগ্ন জায়গার লিজ গ্রহণকারী রেহানা বেগম ও রুবেলের কাছ থেকে বকেয়া পাওনা টাকা আদায়সহ তাদের উচ্ছেদের যথাযথ ব্যবস্থা নিতেও কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, বিআরটিএ ও বিআরটিসির চেয়ারম্যান, ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
"