প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৩ মে, ২০২৩

যমুনায় তীব্র ভাঙন প্রকল্পের কাজ শুরু

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানা সদরের এবং শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম ও আরকান্দি গ্রামে যমুনায় তীব্র ভাঙনে বসতভিটা, ফসলিজমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অনেকে ঘরবাড়ি হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এদিকে, ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে পাঁচিল পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার যমুনার তীর সংরক্ষণে ৬৪৭ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানা সদরের ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে পাঁচিল পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার যমুনার তীর সংরক্ষণে ৬৪৭ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তদারকি বৃদ্ধিতে শনিবার (২০ মে) থেকে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব নিক্ষেপ করা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রকল্পের ৫ নম্বর সাইডে ভাঙনপ্রবণ ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকায় পাউবো সিরাজগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান, এসডি মিল্টন হোসেন, এসও নাজমুল হোসাইন, আব্দুল ওয়াহাবসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইদুল ইসলামের সরাসরি তত্ত্বাবধানে কাজ চলছে। এতে যমুনার ভাঙনে বিধ্বস্ত স্থানীয়রা পাউবোর সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। এসময় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ভাঙন এলাকায় কয়েকদিন শ্রমিক সংকট ছিল। তবে এখন পুরোদমে কাজ চলছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রায় ২৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, নির্দ্দিষ্ট সময়েই যমুনার তীর সংরক্ষণের এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ভাঙনমুক্ত হবে ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে পাঁচিল পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার।

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম ও আরকানি গ্রামে যমুনার ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে বহু ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেক পরিবার ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রাক্ষণগ্রাম, আরকান্দি গ্রামসহ অনেক গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বস্তুভিটা হারিয়ে মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে গেছেন।

স্থানীয় এলাকাবাসি মনিরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম জানান, যমুনার অব্যাহত ভাঙনে, অনেক বাড়ি ভেঙে গেছে, পুরো গ্রাম নদীতে চলে গেছে। ব্রাহ্মণ গ্রামসহ আরকান্দি গ্রামের বেশির ভাগই এখন যমুনার পেটে।

তারা জানান, ভাঙন অব্যাহত রয়েছে, আমাদের কেউ কোনো খোঁজখবর নিচ্ছেন না। ভাঙনকবলিত মানুষের দুঃখণ্ডদুর্দশার সীমা নাই। কোনো জনপ্রতিনিধি আমাদের খোঁজ নেননি।

আরকান্দি ভাঙনকবলিত গ্রামের আবু বক্কার, নুরুজ্জামান, গ্যাদন জানান, আমাদের বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা এখন গৃহহীন। মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই। যমুনার ভাঙনে আমাদের মানচিত্র অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছে।

এদিকে গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, যমুনার ভাঙনে গ্রামের মানুষ কে কোথায় চলে গেছেন, কেউ জানে না। প্রতিদিনই ভাঙছে যমুনা। এলাকায় ভাঙন আতংক বিরাজ করছে।

গত মঙ্গলবার শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন জানান, ভাঙনের কথা শুনেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close