মো. আশরাফুল আলম সাজু, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম)
রাজারহাটে ভাসমান স্মৃতিসৌধ
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা চেয়ারম্যানের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে চাকিরপশার বিলে জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে অস্থায়ী ভাসমান এক দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। রাজারহাটের ব্র্যাক মোড় সংলগ্ন স্থানে এই ভাসমান স্মৃতিসৌধ এলাকার মানুষের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার করেছে। রাতে বিলের পানিতে স্মৃতিসৌধের লাল-সবুজ আলোর মনোরম দৃশ্য ফুটে ওঠে। আর তা দেখতে ভিড় জমাচ্ছে এলাকাবাসী।
ভাসমান ও দৃষ্টিনন্দন শিল্পকর্ম এই স্মৃতিসৌধ তৈরি করেছেন রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য প্রয়াত আবদুল্লাহ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ পুত্র। জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি বলেন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চাকিরপশার বিলে অস্থায়ী দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ ও অতীত ইতিহাস সম্পর্কে জানান দেওয়ার জন্য এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। স্মৃতিসৌধটি লম্বা প্রায় ২১ ফিট, যা তৈরিতে লোহার অ্যাঙ্গেল, রড, লোহার পাতি, কাপড় ও বিভিন্ন রঙের বাতি ব্যবহার করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকটাক থাকলে স্মৃতিসৌধটি আগামী ঈদ পর্যন্ত রেখে দেওয়ার ইচ্ছা। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য বিলের মাঝেই রাখা হবে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের স্মৃতিসৌধটি দেখার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
স্মৃতিসৌধটি দেখতে প্রতিদিন অনেকেই আসেন। দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবদুল হামিদ (৬০) বলেন, চেয়ারম্যান অনেক শৌখিন মানুষ। তার এই কর্মটি দেখতে প্রতিদিন মানুষ ভিড় জমান। শুধু তাই নয়, তিনি ব্র্যাক মোড়ে একটি সুদৃশ্য পাল তোলা নৌকা তৈরি করেও অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দিনের চেয়ে রাতের আলোয় স্মৃতিসৌধটির প্রতিচ্ছবি পানিতে পড়ায় এর সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পায়। হৃদয়ে যে অনুভূতি জাগে, যেন প্রকৃত স্মৃতিসৌধের সামনেই দাঁড়িয়ে আছি। অনেকেরই প্রকৃত জাতীয় স্মৃতিসৌধ দেখার সৌভাগ্য হয় না, তারা এখানে এসে ওই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।
"