গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১০ শতাংশ জমি কেনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। টুঙ্গিপাড়া মৌজার ওই ১০ শতাংশ জমি কিনতে মালিকের ছেলেদের সঙ্গে লবিং করে শক্তি প্রদর্শন করছে দুই পক্ষ। তাই জমিটি কেনা নিয়ে যেকোনো মুহূর্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এরই মধ্যে এক পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, টুঙ্গিপাড়া মৌজার বালাডাঙ্গা গ্রামের ১৫১ খতিয়ানের ১০ শতাংশ জমির মালিক কাঞ্চু মুন্সীর মেয়ে ফাতেমা বেগম (৭০)। ফাতেমা বেগমের ছেলেরা ওই জমি বিক্রি করে পাটগাতী গ্রামে একটি মসজিদ নির্মাণ করবে। তাই ওই জমির সামনে বসবাসকারী সাফায়েত শেখের কাছে ৬০ হাজার টাকা শতাংশ হিসাবে জমি বিক্রি করতে চায় ফাতেমার ছেলেরা। মৌখিক চুক্তি হিসাবে দুই লাখ টাকাও অগ্রিম নেওয়ার কথা হয়। কিন্তু হঠাৎ করে একই গ্রামের সাফায়েত শেখের চাচাতো ভাই শের আলী শেখ ওই জমি কিনতে ফাতেমার ছেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন তাদের মধ্যে ৬৫ হাজার টাকা শতাংশ হিসাবে জমি বিক্রির কথা হয় এবং গোপনে তারা জমি রেজিস্ট্রি করতেও চান। তখন সাফায়েত শেখের ছেলেরা স্থানীয়দের নিয়ে বাধা দিলে জমিটি বিক্রির দলিল রেজিস্ট্রি হয়নি। পরে স্থানীয়দের নিয়ে তিনবার সালিস ডাকলেও শের আলী শেখ হাজির হয়নি। কিন্তু গোপনে তারাও জমি কিনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই এই জমি বেচাকেনা হলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটবে বলে জানা গেছে।

সাফায়েত শেখ বলেন, ‘ওই ১০ শতাংশ জমি আমার বাড়ির সামনে। জমি আমার কাছেই বিক্রি করবে বলে দীর্ঘদিন ধরে ফাতেমার ছেলে মাহফুজ কথা দিয়ে আসছে। তাই ওই জমি আমিই দেখাশোনা করি। কিন্তু হঠাৎ করে তারা সামান্য কিছু টাকার লোভে অন্যদের কাছে বিক্রি করতে চাচ্ছে। আমিও বেশি টাকা দিতে রাজি কিন্তু জমি আমার কাছেই বিক্রি করতে হবে।’

এ বিষয়ে জানতে শের আলী শেখের কাছে জানতে তাদের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। আর ফাতেমার ছেলে মাহফুজের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকেও পাওয়া যায়নি। টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম বলেন, জমি কেনা নিয়ে যেকোনো সময় সংঘর্ষ হতে পারে বলে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন সাফায়েত শেখের ছেলে। তাই সেখানে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে মীমাংসা করতে বলা হয়েছে।

"