কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

  ১৯ মার্চ, ২০২৩

কসবা রেলস্টেশন এলাকা পরিদর্শনে পররাষ্ট্র সচিব

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, আখাউড়া-লাকসাম রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা এবং সালদা নদী রেলসেতু নির্মাণকাজ আর বন্ধ হবে না। নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে নির্মাণকাজ। প্রায় আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু হওয়ার সাত দিনের মাথায় শনিবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে কসবা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখার ১৫০ গজের ভেতর কাজ হচ্ছে এমন অজুহাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধার মুখে ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে কসবা রেলস্টেশন ও সালদা রেলসেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১২ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে কসবা রেলস্টেশন, রেলপথ ও সালদা রেলসেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সমস্যাগুলো সমাধান করে রেলওয়ে স্টেশন ও সালদা রেলসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। গত সাত দিন ধরে পুরোদমে কাজ চলছে। নির্মাণকাজ শেষ হলে বাংলাদেশের জন্য যেমন ভালো হবে, তেমনি ভারতেরও। বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে আমাদের যে যোগাযোগ আছে এর ফলে তা আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কাজেই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

দীর্ঘদিন থাকা কসবা সীমান্ত হাট চালুর বিষয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বর্ডার হাটগুলো হলো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সাধারণ মানুষের সম্প্রীতির মেলবন্ধন। শিগগিরই ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করে কসবা সীমান্ত হাটসহ সব কয়টি হাট খুলে দেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব মিশন আসাদ আলম সিয়াম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (সাউথ এশিয়া) রকিবুল হক, ট্যাক্স কমিশনার মাসুদ কামাল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, জুবায়েদ হোসেন, বিজিবির কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আবুল কালাম শামসুদ্দিন রানা, ৬০ বিজিবির অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া রেল জংশন থেকে লাকসাম রেল জংশন পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডাবল লাইনের কাজ চলছে। ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বেশির ভাগ কাজ সম্পন্ন হলেও বিএসএফের বাধার মুখে কসবা রেলস্টেশন, স্টেশনের ডাবল লাইন ও সালদা রেলসেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়েছিল।

আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন বলেন, নির্মাণকাজ শেষ হলে এটি জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ২৩ জোড়া ট্রেন চালু আছে। নির্মাণকাজ শেষ হলে এই পথে ৭২ জোড়া ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close