বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১৮ মার্চ, ২০২৩

বেলকুচিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হট্টগোল

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল ও তার সমর্থকরা হট্টগোল করেছেন। শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে দলীয় কার্যালয়ে প্রতিপক্ষের সমর্থকরাও বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেন। তবে তৃণমূল আওয়ামী লীগের কর্মীরা তা প্রতিহত করেন।

বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলখোশ আলী প্রামানিক জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে এমন ন্যক্কারজনক হট্টগোল করে আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য নষ্টের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে নৌকাবিদ্রোহী চক্র। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ব্যানার, স্থানীয় সাবেক ও বর্তমান এমপির ছবি ভাঙচুর করেছে বিশ্বাস গ্রুপের নৌকাবিদ্রোহীরা। তৃণমূল আওয়ামী লীগের বহুদিনের ত্যাগী নেতারা এদের বিরুদ্ধে ক্ষাভ প্রকাশ করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের শুভ সূচনায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মমিন মন্ডল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাসসহ দলীয় নেতারা।

পরে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। ব্যানারে স্থানীয় এমপির নাম নেই- এ নিয়ে দলীয় নেতারা কথা বলতেই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল হম্বিতম্বি ও হট্টগোলের চেষ্টা করেন। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল আহম্মেদ অশোভন আচরণ করেন। উপস্থিত দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন।

পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল মমিন মন্ডলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে ফুল দিয়ে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এ ঘটনায় তৃণমূল আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে বেলকুচি উপজেলাজুড়ে। এ ঘটনায় বক্তব্য নিতে বেগম আশানুর বিশ্বাস ও নুরুল ইসলাম সাজেদুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

তবে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মমিন মন্ডল এমপি জানান, দলের এমপি ও সভাপতি হিসেবে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আমার নাম ব্যানারে না থাকায় শুধু জিজ্ঞেস করেছে। এতেই আশানুর বিশ্বাসের জামাতা ছাত্রদলের সাবেক ভিপি ও বিদ্রোহী উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সাজেদুলের নেতৃত্বে হট্টগোল করে। এ সময় তারা দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন।

বেলকুচি থানার ওসি আসালাম হোসেন জানান, সকালের দিকে দলীয় কার্যালয়ে কিছুটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close