নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আয়কর সেমিনারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করলে করদাতার সংখ্যা বাড়বে

বর্তমান সরকারের শাসনামলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে ক্রেতা ও ভোক্তার সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। গ্রামের মানুষের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করে গ্রামেও আয়কর জাল সম্প্রসারণ করতে হবে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়কর বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালে যখন হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ২৭৭ মার্কিন ডলার। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৩২৯ ডলার। ২১ বছরে মাথাপিছু আয়ের পার্থক্য মাত্র ৫২ মার্কিন ডলার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৭০০ মার্কিন ডলার, বর্তমানে তা ২ হাজার ৮২৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাত্র ১৪ বছরে ২ হাজার ১২৪ ডলারের মাথাপিছু আয়ের পার্থক্যটা অভূতপূর্ব এবং অসাধারণ। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অপার সম্ভাবনা রয়েছে কারণ আমাদের ৬৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী যুবক যারা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এছাড়া এলডিসি থেকে উত্তরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। কর প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে সবাইকে অংশগ্রহণ করারও আহবান জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, মানুষ যাতে হয়রানিমুক্ত পরিবেশে আয়কর প্রদান করতে পারে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে। সেজন্য আয়কর ব্যবস্থায় সমন্বিত ডিজিটালাইজেশন ব্যবস্থা চালু হয়েছে এবং তা ভবিষ্যতে আরো শক্তিশালী হবে। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন, যেখানে মাথাপিছু আয় সাড়ে বারো হাজার ডলার অর্জনের জন্য বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এ সময় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে একই ছাতার নিচে আনতে পেরেছেন বলেই মাত্র ১৪ বছরে ২ হাজার ১২৪ মার্কিন ডলার মাথাপিছু আয় বেড়েছে আমাদের।

তিনি বলেন, পাকিস্তান আবেদন করার দুই বছর পর আইএমএফ এখনো ঋণ দেয়নি অথচ বাংলাদেশকে ৬ মাসে ঋণ অনুমোদন দিয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। মন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা উৎপাদনের মাধ্যমে সম্পদ তৈরি করে, তারা যেহেতু কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখে তাই আয়কর ব্যবস্থা ব্যবসায়ীবান্ধব হতে হবে। এ সময় তিনি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আয়কর ব্যবস্থায় পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জনের জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মতামত সংযুক্ত করলে তা আয়কর ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়োজনে ‘আয়কর ব্যবস্থার ক্রমবিকাশ ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আয়করের ভূমিকা’ এবং ‘আয়কর ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী এবং এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close