মীর আসলাম, রাউজান (চট্টগ্রাম)

  ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

অপরূপে সাজবে রাউজান

নতুন সাজে সাজবে রাউজান পৌরসভা। ডেল্টা প্লানের আওতায় নেদারল্যান্ডসের অর্থায়নে নেওয়া হচ্ছে বিশাল প্রকল্প। কর্মযজ্ঞ শুরু হতে পারে তিন চার মাসের মধ্যে। চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি চার লেন মহাসড়কের কিনারা ঘেঁষে থাকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাউজান রাবার বাগান এলাকা।

পৌরসভার প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শেষ সীমানায় বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণী নানা স্থাপনা। ১০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়সাপেক্ষ প্রকল্পের আওতায় এখানে প্রতিষ্ঠা করা হবে ওপেন থিয়েটার সেন্টার, শিশুদের খেলাধুলার জন্য বিশেষ অঞ্চল, বোটিংয়ের জন্য রাখা হবে চক্রকার লেক, শৌখিন মাছ শিকারিদের জন্য থাকবে বড় পুকুর, আধুনিক মানের রেস্তোরাঁ, কমিউনিটি সেন্টার, নির্মিত হবে বিল্ডিং কানেক্টিং কাঠের সেতু, বিনোদন স্পটে আসা লোকজনের আসনবিন্যাস এলাকা, বোর্ডিং ঘাট, গার্ড রুম, পার্কিং এলাকা, পাবলিক টয়লেটসহ নানা স্থাপনা।

এই প্রকল্প নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন অর্থ জোগানদাতা দেশের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা। তার কাছ থেকে পাওয়া প্রকল্পের নকশায় এই ধারণা পাওয়া যায়।

পৌরসভার প্রকৌশলী ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, অর্থ জোগানদাতা দেশের প্রতিনিধিরা একাধিবার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট হয়ে সাড়ে ছয় একর জায়গা নিয়ে প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত করেছেন। তারা এটি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করেছেন। যেহেতু অর্থদাতা গোষ্ঠী প্রকল্পের টাকা ধাপে ধাপে দেবে, সেহেতু নকশা অনুসরণ করে কাজ শুরু করতে হবে পৌরসভাকে। এখন অপেক্ষা কাজ শুরু করার।

প্রকৌশলী ওয়াসিম আকরামের প্রত্যাশা, আগামী এপ্রিলে তারা কাজে হাত দিতে পারবেন।

প্রকল্প স্থান পৌরসভার যে ওয়ার্ডে পড়েছে সেই এলাকার কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, তার ওয়ার্ডটি এমনিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এটি হবে ঝলমলে মডেল উপশহর। তিনি বলেন, এই ওয়ার্ডে এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পিংক সিটি, ট্রমা সেন্টার, বিসিক শিল্পাঞ্চল, বঙ্গমাতা ফজিলাতুনেছা প্রবীণ নিবাস, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম কেন্দ্রসহ নানা প্রতিষ্ঠান।

পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেছেন, রাউজানকে সাজানোর রূপকার হচ্ছেন এলাকার চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। তিনি রাউজানকে সেরা উপজেলা ও পৌরসভার মর্যাদায় উন্নীত করতে তার মেধা ও রাজনৈতিক দুরদর্শিতায় ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। তার বদৌলতে পাওয়া যাচ্ছে পৌরসভার সৌন্দর্যবর্ধনের ভিন দেশের অর্থয়ানে এই প্রকল্প। উল্লেখ্য, রাউজান পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কৌশল এখন সরকারিভাবে স্বীকৃত। অন্য পৌরসভাকে রাউজানের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কৌশল অনুসরণ করার জন্য সরকারিভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close