reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরো এক পৃথিবীতে ফারিণ

এ প্রজন্মের অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম তাসনিয়া ফারিণ। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তিনি যে নাটকগুলোতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন, নিজের মেধা, সুপ্ত প্রতিভা কাজে লাগিয়ে মন-প্রাণ উজাড় করে চরিত্রের গভীরে ডুবে গিয়ে অভিনয় করেছেন। নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি কয়েকজন নির্মাতার কাছ থেকে সিনেমায় কাজ করার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু তা বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

তবে ভারতের কলকাতার অতনু ঘোষের ‘আরো এক পৃথিবী’তে কাজ করার প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করেছিলেন এই অভিনেত্রী। অবশেষে সিনেমাটি কলকাতায় মুক্তি পাচ্ছে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি)। যার প্রচারণায় কয়েকদিন ধরে কলকাতায় আছেন ফারিণ। এই সিনেমা দিয়ে বাংলাদেশি এ অভিনেত্রীর বড় পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে। কলকাতা থেকে মোবাইল ফোনে ফারিণ কথা বলেন প্রতিদিনের সংবাদের সঙ্গে। যার চুম্বক অংশ তুলে ধরেছেন প্রতিবেদক তুহিন খান নিহাল।

প্রথমবার বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে, তা আবার কলকাতার সিনেমা দিয়ে, কী বলবেন?

‘নিজেকে এভাবে দেখব, কখনো ভাবিনি। কলকাতার দেয়ালে, টিভিতে, পত্রিকায় নিজের ছবি আমাকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) আমার জন্মদিন ছিল। সিনেমার প্রচারের মধ্যেই জন্মদিন এসেছে। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে জন্মদিন নয়, কাজই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আর আমি লাইফে খুব বেসি এক্সপেকটেশন রাখি না। যে কারণে আমার কাছে যেটাই আসে সেটাই একটা সারপ্রাইজ। সব সময় আমি গ্রেটফুল থাকার চেষ্টা করি। ছোট কিছু পেলেই খুশি হয়ে যাই। যে কাজই করেছি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। চড়াই-উতরাই পার তো হতেই হয়েছে এবং সামনেও হতে হবে। আমার মনে হয় যে লাইফটাই একটা অ্যাডভেঞ্চার। আর আমি অভিনেতা হয়ে ভালোই হয়েছে কারণ, প্রতিদিনই এক একটা চরিত্রে বাঁচতে পারি সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় পাওনা।

কাজের ক্ষেত্রে প্রথমবার কলকাতা নগরীতে?

আগেও কলকাতায় এসেছি। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে এবারই প্রথমবার কলকাতায় আসা। এখানে এলে কখনোই আমার অন্য নগরী মনে হয় না। মনে হয় ঠিক পাশের বাড়ি। এখানে এসে সবার সঙ্গে একটা সম্পর্ক হয়ে গেছে। সবার সঙ্গে স্ক্রিপ্ট নিয়ে কথা হচ্ছে, ফ্রি সময়ে খেতে চলে গেলাম। মনে হয়েছে দ্বিতীয় পরিবার পেয়েছি আমি।

বড় পর্দায় কাজের অফার আগেই ছিল। কিন্তু এই সিনেমাকে বেছে নেওয়ার কারণ কী ছিল?

বড় পর্দায় কাজ করার সিদ্ধান্তটা ধীরে নেওয়ারই পরিকল্পনা ছিল। কারণ, আমি চেয়েছিলাম আমার প্রথম ছবি নিয়ে সবার মধ্যে একটা আগ্রহ থাকবে, পাশাপাশি আমার নিজের মতো একটি চরিত্র হবে। আমি যেভাবে কল্পনা করেছি, প্রথম ছবির ক্ষেত্রে ঠিক এমনটাই হয়েছে। ভালো পরিচালক, গল্প, চরিত্র খুব ইন্টারেস্ট হবে, তো সব কিছু মিলিয়ে গল্পটা শোনার পর মনে হলো সবকিছু মিলে যাচ্ছে। ফাইনালি প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে।

অতুন ঘোষ জনপ্রিয় নির্মাতা, বাড়তি পাওনা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, তাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন হলো?

তাদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বলতে গেলে আমি বলব অনেক কিছু শিখেছি। যার লম্বা একটি লিস্ট দিতে পারি। প্রথম ছবিতে গুণী দুজন মানুষকে একসঙ্গে পাব সেটা কল্পনা করিনি। অতনুদার ক্ষেত্রে আমি বলব তিনি খুব ছোট ছোট ডিটেইলের ওপর নজর দেন। স্ক্রিপ্টের পরেও তিনি সিনে প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু সারপ্রাইজিং এলিমেন্ট অ্যাড করতেন। আর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে বলব তিনি দারুণ একজন অভিনেতা। তার কিছু চমৎকার মোমেন্ট তৈরি হয়েছে ছবিটাতে আর আমি সেগুলোতে রিঅ্যাক্ট করেছি। তার অভিনয়ের রিঅ্যাকশনেই আমার ক্যারেক্টরটা আরো ভালো হয়েছে।

প্রচারণায় গিয়ে কলকাতার দর্শকদের ‘আরো এক পৃথিবী’ নিয়ে আগ্রহ কেমন দেখছেন?

প্রচারণায় এসে প্রসেনজিৎ দার সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমাকে দেখেই চিনে ফেলেন। ওটিটিতে আমার কাজ দেখেছেন। বুম্বাদা আমাকে বললেন, ‘ফারিণ, তোমার অভিনয় ভালো, ধরে রেখো। আমি এতটুকু মানুষ, তার প্রশংসা আমার জন্য সৌভাগ্যের।’

বেশ আগ্রহ লক্ষ করছি। যারা সেলফি তুলতে আসছে, যাদের সঙ্গেই কথা হচ্ছে, সবাই ছবিটি দেখার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এখন যেটা ভাগ্যে আছে। আমি আশা করব কলকাতা দিয়েই যেহেতু শুরু হচ্ছে আমার বড় পর্দার শুরুটা। সুতরাং কলকাতার দর্শকদের দিকে তাকিয়ে থাকছি। আমি নিজেও দেখিনি ছবিটি এখনো। আশা করছি দর্শকদের সঙ্গে দেখব। আমি সবাইকে সিনেমাটি দেখতে আমন্ত্রণ জানাব। বলব দর্শকদের ছবিটি একটি রিফ্রেশিং সিনেমা। চারটি ক্যারেক্টারের গল্প আপনাদের মুগ্ধ করবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close