শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
মদের আড্ডার প্রতিবাদ করায় ৮ জনকে কুপিয়ে জখম
বাড়ির পাশেই বনবিভাগের সৃজিত বাগানে বাঁশের মাচা বসিয়ে প্রতিদিন চলে মদের আড্ডা, উত্ত্যক্ত করা হয় মেয়েদের। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করায় বসতবাড়িতে প্রবেশ করে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ, নারী শিশুসহ একই পরিবারের সাতজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) উপজেলার বরমী ইউনিয়নের ধাইবাড়িটেক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- উপজেলার বরমী ইউনিয়নের দাইবাড়িটেক গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে আবদুল মালেক (৭০), তার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৬০), ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৩৭) ও উজ্জল হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী নাছিমা বেগম (৪২), মেয়ে নিপা আক্তার (১৪), তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী সুমি বেগম (৩৫), ছেলে শিমুল হোসেন (১৭)।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে শিমু হোসেন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেন। ঘটনার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও থানায় মামলা হয়নি। অভিযুক্তদের হুমকির মুখে দিন কাটছে ভুক্তভোগী পরিবারের। পুলিশ বলছে বাদী এখনো থানায় না আসায় মামলা হয়নি। অভিযুক্তরা হলো- একই গ্রামের জিন্নত আলীর স্ত্রী শামসুন্নাহার (৬৫), ছেলে মো. জসিম (৫০), জসিমের ছেলে মো. সুজন (২১) ও মো. নাঈম (২৮), স্ত্রী মোছা. নুরুন্নাহার (৪৬) ও মো. রাজু (২৫)।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একই পরিবারের আহতরা বাড়ির আঙিনায় জড়োসড়ো হয়ে বসে আছেন। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অভিযুক্ত জসিম তার সহযোগিতার আবদুল মালেকের বাড়ির পাশেই বনবিভাগের জায়গায় বাঁশের মাচা তৈরি করে সেখানে প্রতিনিয়তই উচ্চৈঃস্বরে গানবাজনা, মাদক সেবন করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এ নিয়ে ২ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৮টায় আবদুল মালেকের ছেলে উজ্জল হোসেন প্রতিবাদ করে। এতে জসিম ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা আবদুল মালেকের বসতবাড়িতে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারধর করে আটজনকে আহত করে।
ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত হয় আবদুল মালেক তোফাজ্জল হোসেন, উজ্জল, নাসিমা, সুমি বেগম। আহতদের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকি আশঙ্কাজনক অবস্থায় আবদুল মালেক ও উজ্জলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে আসে।
ভুক্তভোগী উজ্জল জানায়, ঘটনার ছয় দিন পার হয়ে গেলেও মামলা না হওয়ায় অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ তুলে নিতে ভিটে ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা। হুমকির মুখে তারা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করে তা সমাধান করা যায়নি।
শ্রীপুর থানার এসআই রিপন আলী বলেন, ঘটনার দিন জরুরি সেবা সুরক্ষা নাম্বার ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে এসেছি। তারা চিকিৎসাধীন থাকার মামলা নেওয়া সম্ভব হয়নি। আজ তাদের নিয়ে ওসি সারের কাছে যাব। শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় আইগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
"