মো. আবদুল্লাহ, শেকৃবি

  ০১ ডিসেম্বর, ২০২২

প্রভোস্ট নিয়োগের ১৪ মাসেও চালু হয়নি হল

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) নবনির্মিত শেখ লুৎফর রহমান হল ও শেখ সাহেরা খাতুন হলের প্রভোস্ট নিয়োগের ১৪ মাস অতিক্রান্ত হলেও চালু হয়নি হল। নতুন সেশনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ওই হলগুলোতে সংযুক্তি দেওয়া হয়নি। ফলে অপর পাঁচটি হলে শিক্ষার্থীদের চাপ বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।

গত ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. উদয় কুমার মহন্তকে শেখ লুৎফর রহমান হলের প্রভোস্ট ও কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলামকে শেখ সাহেরা খাতুন হলের প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রভোস্ট নিয়োগের পর ১৪ মাস অতিক্রান্ত হলেও হলসমূহে নেই কারো আবাস। এরই মধ্যে শেখ লুৎফর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. উদয় কুমার মহন্ত চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে অবস্থান করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ৫টি হলের প্রতিটিতেই রয়েছে গণরুম। প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে হলে থাকতে চাওয়া সবাইকেই থাকতে হয় গণরুমে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, করোনাকালীন বাদ দিলেও আমরা প্রায় ১ বছরের বেশি সময় গণরুমে ছিলাম, যেখানে প্রায় ১০০ জনের মতো শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে থাকতে হতো। গণরুম থেকে আমাদের রুমে সিট দিলেও চারজনের রুমে থাকতে হচ্ছে ৮-১২ জন। আমাদের জুনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এখনো গণরুমে, এরই মধ্যে নতুন আরেক ব্যাচের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। নতুন হলে সংযুক্তি না দেওয়ায় অন্য হলগুলোতে তীব্র সিট সংকট দেখা দেবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, শেখ লুৎফর রহমান হল এবং শেখ সায়েরা খাতুন আবাসিক হলের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় আমরা এ বছর শিক্ষার্থীদের হলে তুলতে পারিনি। লোকবলের নিয়োগ এবং সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা হলের কাজ শুরুর সময়ের অর্গানোগ্রামে ছিল না। আগের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ভুলের কারণে আমাদের এই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। তবে আমরা নতুন অর্গানোগ্রামে লোকবল নিয়োগের বিষয় সংযুক্ত করেছি। আশা করি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক বলেন, হলগুলোর কাজ শুরুর সময় অর্গানোগ্রামে লোকবলের বিষয় উল্লেখ না থাকা এবং নিয়োগজনিত সমস্যার জন্য শিক্ষার্থীদের তুলতে পারছি না। তবে আমরা বিকল্প পরিকল্পনা করছি। যদি সাময়িক লোকবল নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে উন্মুক্ত করা যায় আমরা করব। আমরা শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে দ্রুত পরিকল্পনা করছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close