সাদমান সময়, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

  ২৩ নভেম্বর, ২০২২

মিরসরাইয়ে পথের পাশে মরা গাছ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই অংশে দুই পাশে বেশ কিছু গাছ মরে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে মরা গাছের নিচ দিয়ে যানবাহন ও পথচারী চলাচল করছে। যেকোনো সময় মরা গাছ ভেঙে পড়ে সড়কে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন পথচারীরা। গাছগুলো কয়েক বছরের ব্যবধানে পর্যায়ক্রমে মারা গেছে বলে এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে বেশির ভাগ মরা গাছের ডালপালা ভেঙে গেছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় বেশ কবছর বছর আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুপাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়। সেগুলো এখন বিশাল বৃক্ষে পরিণত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সরেজমিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের দুপাশে কড়ই, বট, পাকড়, শাল, মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির বেশ কিছু গাছ মরে গেছে। কিছু গাছ পোকার আক্রমণে রোগাক্রান্ত হয়ে ডাল ও পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে মিরসরাই সদরের উত্তর পাশে ইউটার্নের পূর্ব পাশে গাছটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া মহাসড়কের মিরসরাই, সোনাপাহাড়, নয়দুয়ার এলাকায় গাছ মরে সড়কের দিকে হেলে আছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে মিরসরাই পর্যন্ত মহাসড়কের দুপাশে বেশ কয়েকটি মরা গাছ রয়েছে।

মিরসরাই সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শাহজাহান বলেন, মিরসরাই সদরের উত্তরপাশে মহাসড়কে যে মরা গাছ, তা খুবই বিপজ্জনক। কারণ এটি একেবারে ইউটার্নের পাশেই। এগুলো নিয়ে আমরা সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকি। যেকোনো সময় গাছ ভেঙে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। গাছগুলো দ্রুত কেটে ফেলা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে। আমার কোনো বক্তব্য নেই।’

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বলেন, ‘এ গাছগুলো সড়ক ও জনপথ বিভাগের। তারা পদক্ষেপ না নিলে আমাদের কিছু করণীয় নেই। আমরা তাদের এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতেও পারি না।’

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিনহাজুর রহমান বলেন, এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ দেখভাল করে। এ বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নিতে পারে। 

সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রাম জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ‘এ বিষয়ে অবগত না আমরা। তদন্ত করে সরকারিবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close