নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ নভেম্বর, ২০২২

দুরন্ত বিপ্লবের মৃত্যু

মর্নিং সান লঞ্চের ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেপ্তার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুরন্ত বিপ্লবের মৃত্যুর ঘটনায় মর্নিং সান-৫ লঞ্চের ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলো লঞ্চের মাস্টার হাফেজ মো. সাইদুর রহমান ও আলামিন, ইঞ্জিন ড্রাইভার মো. মাসুদ রানা ও ইমন হোসেন, সুকানী মো. সালমান এবং সুপারভাইজার ইব্রাহীম খলিল। তাদের শনিবার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান।

দুরন্ত বিপ্লব ৭ নভেম্বর কেরানীগঞ্জ থানার কোনাখোলা এলাকা থেকে জিনজিরা সোয়ারীঘাট হয়ে ঢাকায় আসার পথে নিখোঁজ হন। এর ৫ দিন পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ মামলা তদন্তকালে মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত লঞ্চটির ছয়জন চালক ও টেকনিক্যাল পারসনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, দুরন্ত বিপ্লব তার কর্মচারী হেলালকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার দিন বিকাল পৌনে ৫টার দিকে কুরিয়ার সার্ভিসে কিছু সবজির প্যাকেট হস্তান্তর করে বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিটের দিকে নুর ফিলিং স্টেশনের কাছাকাছি রাস্তায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। অটোরিকশাচালক বিল্লালের ভাষ্য মতে, দুরন্ত বিপ্লবকে তিনি জিনজিরা ঘাটে নামিয়ে দেন।

সিসিটিভি ফুটেজ ও ডিজিটাল মুভমেন্ট বিশ্লেষণ করে গোয়েন্দা পুলিশ নিশ্চিত হয় যে জিনজিরা ঘাট ও কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগ এলাকার নদীর পাড় এলাকায় দুরন্ত বিপ্লবের সর্বশেষ অবস্থান ছিল। এ এলাকায় থাকাকালীন তিনি কুরিয়ার সার্ভিসের গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন।

জিনজিরা ঘাট থেকে সোয়ারীঘাটে চলাচলকারী খেয়া নৌকার মাঝি শামসু মিয়ার তথ্য মতে, মাগরিবের নামাজের আগে বা পরে ৫ জন যাত্রী নিয়ে তার নৌকা মাঝ নদীতে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া মর্নিং সান-৫ লঞ্চ তার নৌকাকে ধাক্কা দেয়। এতে নৌকাটি তলিয়ে যায় এবং যাত্রীরা ডুবে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে অন্য নৌকা এসে কয়েকজনকে উদ্ধার করতে পারলেও একজনকে পাওয়া যায়নি। ডুবে যাওয়া সেই যাত্রীই দুরন্ত বিপ্লব বলে জানিয়েছে পুলিশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close