নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

  ০৭ অক্টোবর, ২০২২

কৃষকের ঘরে হামলা-ভাঙচুর প্রাণনাশের হুমকি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে নাদিম মাহমুদ নামে এক নিরীহ কৃষকের জমি জোরপূর্বক বেদখলসহ বসতঘরে হামলা চালিয়ে লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভাঙচুর করার এক গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষক নাদিম মাহমুদ নান্দাইল উপজেলার ৬নং রাজগাতী ইউনিয়নের পাঁছদরিল্লা গ্রামের সাহেদ আলী ভূঁইয়ার ছেলে। পূর্বশত্রুতার আক্রোশে একই গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া, শামীম মিয়া, ও আসকর আলীর ছেলে ফজলুর রহমান রবিবার (২ অক্টোবর) রাতে কৃষক নাদিম মাহমুদের বসতঘরে হামলা চালায়। প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

এ সময় ঘরের একটি ফ্রিজ এবং আসবাবপত্র দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ভাঙচুর করেছে। তবে কৃষক নাদিম মাহমুদ ও তার পরিবারের লোকজন প্রতিপক্ষের ভয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ফলে ওই দিন রাতে প্রতিপক্ষের হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যান কৃষক ও তার পরিবার। পর দিন কৃষক নাদিম মাহমুদ ভাঙচুরের বিষয়টি জানতে পেরে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করলে, থানার উপপরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এ ঘটনার সত্যতা পান।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মিলন মিয়া, শামীম মিয়া ও ফজলুর রহমান গংরা পূর্বশত্রুতার জেরবশত গত দুই মাস পূর্বে নিরীহ কৃষক নাদিম মাহমুদ ও তার ভাই মাসুদের ফসলি জমিতে জোরপূর্বক হালচাষ চালিয়ে জমি বেদখল দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে একাধিক সালিস বসলেও এ ঘটনার কোনো সুরাহায় হয়নি। বর্তমানে দাসপাড়া মৌজায় কৃষক নাদিম মাহমুদের ৮৭ শতক ফসলি জমি অনাবাদি রয়েছে। পাশাপাশি নিরীহ কৃষক পরিবার নিজ জমির দখল হারিয়ে হত্যা মামলার আসামি মিলন, শামীম ও ফজলুর রহমান গংদের ভয়ে পালিয়ে জীবন-যাপন করছে।

কৃষক নাদিম মাহমুদ ও তার ভাই মাসুদ মিয়া জানান, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যুসহ নানাবিধ অপরাধের কারণে একাধিক মামলা-মোকাদ্দমা রয়েছে। তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে চায় না। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেকার মোমতাজ খোকন এ বিষয়ে জানান, এ ঘটনায় একাধিকার সালিস বসলেও মিলন ও শামীম গংরা এরা খারাপ প্রকৃতির লোক, সালিস মানে না। বর্তমানে কৃষকের বেদখল জমি উদ্ধারসহ তাদের হাত থেকে রেহাই পেতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন কৃষক পরিবার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close