রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ০৫ অক্টোবর, ২০২২

রাজারহাটে সম্প্রীতির মেলবন্ধ

একটি মাঠের এক প্রান্তে মুসলিমদের মসজিদ, অপর প্রান্তে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির। মিলে মিশে নিজ নিজ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করে চলছেন যুগের পর যুগ। কোনো ধর্মের লোকের বিরুদ্ধে নাই কারো কোনো অনুযোগ কিংবা অভিযোগ। সামাজিক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির স্থাপিত হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের বৈদ্যের বাজারে।

উপজেলা শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার উত্তরে বৈদ্যের বাজারে গেলেই চোখে পরবে এমন সম্প্রীতির দৃশ্য। বাজারের পাশেই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রায় ১০০ গজ ব্যবধানে মসজিদ ও মন্দিরের অবস্থান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উভয় প্রতিষ্ঠানেই প্রায় সময় পুণ্যার্থীর উপস্থিতি চোখে পরে। বিশেষ করে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে উভয় সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে দেখা গেছে উৎসবের আমেজ। দলে দলে আসছেন সনাতন ধর্মের ভক্তরা আসছেন পূজা অর্চনা করতে, বাজছে ঢাকঢোল। আর জোহরের নামাজের আজানের পূর্ব মহূর্তে সব বন্ধ হয়ে যায়। নামাজ শেষে আবার শুরু এভাবেই সব কিছু চলছে নিয়ম মেনে। স্থানীয় কয়েকজন প্রবীণ জানান, এখানে নিজ নিজ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনে পরস্পরকে সহযোগিতা করেন। এখানে কখনো কোনো ধরনের সমস্যা হয়েছে বলে তাদের জানা নেই। স্থানীয় সূত্র মতে, মন্দিরটি ১৮২৯ সালে ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়। আর দেশ স্বাধীনের পরপরই মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আবদুল ওয়াহেদ পাটোয়ারী এবং মন্দির কমিটির সভাপতি বাবু চপল কুমার বলেন, আমরা একে অপরের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মসজিদে নামাজের বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানের সূচি মন্দির কমিটিকে দেওয়া আছে। মন্দির কমিটি তাদের পূজা বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানের সূচি মসজিদ কমিটিকে দিয়ে রেখেছে। সেই হিসাবে উভয় কমিটির পক্ষ থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে এই উপজেলার মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কোনোভাবে এর ব্যতিক্রম না হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close