নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৫ অক্টোবর, ২০২২

সয়াবিন তেলের দাম কমার প্রভাব নেই বাজারে

বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৪ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় গত সোমবার। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) নতুন দাম কার্যকর হওয়ার কথা। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন দামের কোনো প্রভাব নেই বাজারে। প্রতি লিটার আগের দামেই অর্থাৎ ১৯২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোথাও ১৭৮ টাকায় বিক্রি নেই।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর কয়েকটা বাজার ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। সয়াবিনের দাম কমানোর ঘোষণার পরও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

ভাটারার ছোলমাঈদ এলাকার ফেরাজীটোলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বোতলজাত সয়াবিন তেল। এ বাজারে কথা হয় রাজন এন্টারপ্রাইজ মুদি দোকানের বিক্রেতা রাজন মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার দোকানে এক লিটার তীর ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা আর তিন তারা ব্র্যান্ডের তেল এক লিটারের বোতল ১৮৫ টাকায় বিক্রি করছি। আর তীরের দুই লিটার ৩৮০ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল ৯৪০ টাকা।

দাম কেন কমেনি জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, কম দামের বোতল এখনো বাজারে আসেনি। একই চিত্র সুমন জেনারেল স্টোর ও মক্কা জেনারেল স্টোরের। মক্কা জেনারেল স্টোরিজের মালিক বলেন, আমার দোকানে দুই ও পাঁচ লিটারের বোতলে সয়াবিন তেল বিক্রি হয়।

এ বাজারে তেল কিনতে এসেছিলেন সোনিয়া বেগম। তিনি বলেন, খবরে শুনেছিলাম প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ১৪ টাকা কমেছে। বাজারে এসে শুনলাম আগের দামেই কিনতে হবে। তিনি আরো বলেন, সয়াবিন তেলের দাম যখন বাড়ানো হয় তখন সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে। আর যখন কমানো হয় তখন আর কমে না। একই চিত্র দেখা গেছে, রাজধানীর গুলশান-২ ডিসিসি কাঁচাবাজারে। এ বাজারে জানকি ভা-ারের বিক্রেতা পিন্টু বলেন, এক লিটারের বোতল ১৯০ টাকা, দুই লিটার ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কবে দাম কমতে পারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, কম দামের মাল এখনো আসেনি। আগামী সপ্তাহে মাল ডেলিভারি দিলে কমতে পারে।

একই বাজারের বিল্লাল বানিয়াতী স্টোরের বিক্রেতা মোতাহার সরদার বলেন, দাম কমানোর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দাম কি কমে যাবে? গতকাল ঘোষণা হলো কম দামের মাল আসবে তারপর আমরা কম দামে বিক্রি করব।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব মো. নুরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছে হয়তো আগের বেশি দামে কেনা তেল রয়েছে। সেগুলো তারা আগের দামে বিক্রি করছেন। অনেকের এক সপ্তাহের মাল কেনা আছে। তারা লস দিয়ে মাল বিক্রি করবেন না। দাম কমানোর সঙ্গে সঙ্গে তো আর নতুন মাল আসে না। নতুন মাল এলেই আগামী সপ্তাহের মধ্যে দাম কমবে।

দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে বেড়ে যায় জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এটা সব জিনিসেই হয়। দেখেন চালের দাম বাড়ানোর ঘোষণা সঙ্গে সঙ্গে বাড়িয়ে দেয়। যখন কমে যায় তখন বলে আগের কেনা তো। লাভের সময় আর বলে না। আমি নিজেও এর ভুক্তভোগী। এটা দেখার দায়িত্ব ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close