সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জে বেড়েছে কুকুরের উপদ্রব
সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে বিভিন্ন স্থানে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত কুকুর ও শিয়ালসহ অন্যান্য প্রাণীর কামড়ের পর টিকা
নিয়েছে ৫ হাজার ৫১৩ জন। এর আগে ২০২১ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৭০৩। জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কুকুরসহ অন্যান্য প্রাণীর কামড়ে আহত হচ্ছে প্রতিদিন প্রায় ৩০ জন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।
তবে কুকুরের কামড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও টিকা নেওয়ার প্রবণতা থাকায় কমছে জলাতঙ্ক। বিভিন্ন এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলা, উপজেলা, শহর ও গ্রামগুলোতে দুপুর ও সন্ধ্যার পর বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বেশি দেখা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিরাজগঞ্জ পৌরসভার এক কর্মকর্তা বলছেন, কুকুর নিধনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এজন্য বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা বেড়েই চলছে। তবে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কাজী মিজানুর রহমান জানান, কুকুরসহ অন্যান্য প্রাণীর কামড় বাড়লেও অনেকে সময়মতো টিকা নিচ্ছে। এজন্য জলাতঙ্ক রোগের আশঙ্কা কমেছে। কারণ ইতোমধ্যেই অনেকের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় বলেন, কুকুর মারার নিষেধাজ্ঞা থাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা বেড়েছে। এ কারণে কুকুরের কামড়ে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। তবে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। এজন্য জলাতঙ্ক রোগও কমেছে।
"