গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

গোমস্তাপুরে আউশ ধানের বাম্পার ফলন

কৃষকের মুখে হাসি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে এবার আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি ধানের দাম বেশি হওয়ার কৃষকরা বেশ খুশি। এ ফলে আগামী আউশ মৌসুমে বেশি জমিতে চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠবেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এই মৌসুমে ধানের উৎপাদন বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। গোমস্তাপুর উপজেলার আট ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, শেষ মুহূর্তে আউশ ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তারা জানান, রোগবালাই কম ও সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় এবার দানের ভালো ফলন হয়েছে। উচ্চফলনশীল জাতের এ ধান চাষে খরচও কম। তাই কৃষকরা বেশ খুশি হয়েছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে জিরা ১ হাজার ৩৯০ হেক্টর, ব্রিধান-৪৮ ৩ হাজার ৮৩০ হেক্টর, ব্রিধান-৫৫ ৭৫০ হেক্টর, ব্রিধান-৮৫ ১২০ হেক্টর, ব্রিধান-১০০ ১০০ হেক্টর, বিনাধান-১৯ ৫৪০ হেক্টর, বিনাধান-২১ ১৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়। তবে আউশের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আশানুরূপ। তাই আগামী মৌসুমে আউশ ধান চাষাবাদে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবেন কৃষকরা।

রহনপুর পৌর এলাকার প্রসাদপুর মহল্লার কৃষক আনারুল ইসলাম বলেন, আগে আউশ ধানের ফলন না হওয়ায় কৃষকরা তেমন আবাদ করতেন না। এবার তিনি সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আউশ ধান আবাদ করেছেন। ফলন বেশি হওয়ায় এবং ধানের দাম বেশি পাওয়ায় তিনি খুশি। কম খরচে বেশি ধান পাওয়ায় আগামী বছর আবাদ বাড়িয়ে দেবেন বলে তিনি জানান।

বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষক ইসমাইল, সেবলু, নুর, বার্নাট রোজারিও, বাবুল, কালামসহ অনেকেই জানিয়েছেন এবার ধানের ভালো ফলন হয়েছে। আবাদে যা খরচ করেছেন তার চেয়ে বেশি আয় হবে। আগে ফলন কম হতো এখন উচ্চফলনশীল জাতের ধান চাষাবাদ করে বেশি উৎপাদন হচ্ছে।

রহনপুর পৌরসভা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাকীবউদ্দীন বলেন, ‘কৃষকদের সঠিক সময়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উচ্চফলনশীল ধান ২০ থেকে ২২ মণ, দেশি জাতের ধান ১৩ থেকে ১৫ মণ উৎপাদন হয়েছে। চলতি আউশ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বেশি ফলন পেয়েছেন কৃষকরা।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, এ বছর আউশ ধানের ভালো ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৫০০ কৃষককে কৃষি প্রণোদনার আওতায় ধানের বীজ দেওয়া হয়েছে। তাদের সব সময় উৎসাহিত করা হয়েছে। এছাড়া মাঠ দিবসসহ সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থেকে পরামর্শ দিয়েছেন। এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন ছিল না। এতে কৃষকরা অধিক ফলন হয়েছে। আগামীতে কৃষকরা আউশ ধানের আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close