মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

  ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মঠবাড়িয়া এখন পরিচ্ছন্ন শহর

ইউএনও ঊর্মি ভৌমিকের ইতিবাচক চেষ্টার ফল

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়ে তিন মাসের মধ্যে উন্নয়নমূলক নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উর্মি ভৌমিক। এতে নাগরিকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। উর্মি ভৌমিক জনদুর্ভোগ নিরসন করে শহরের চিত্র পাল্টে দিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তার এই ইতিবাচক চেষ্টায় পৌরশহরটি এক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শহর।

উর্মি ভৌমিক রাষ্ট্রের একজন প্রকৃত সেবক ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। দেশে করোনা মহামারির সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় ঘরে ঘরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিতে গিয়ে নিজেই করোনায় আক্রান্ত হন। প্রশাসন ক্যাডারের ৩৩তম ব্যাচের দায়িত্বশীল এই কর্মকর্তা অত্যন্ত মেধাবী, নিরহংকার, বিচক্ষণ। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তৃণমূল পর্যায়ে রাষ্ট্রের সব দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ২৭ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উর্মি ভৌমিককে প্রথম শ্রেণির মঠবাড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করে। তিনি প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করেই পৌর নাগরিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সংবাদকর্মী, বণিক সমিতিসহ সব শ্রেণি-পেশার নেতাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন।

এ সময় তিনি নাগরিক দুর্ভোগ চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাগরিকদের অসুবিধে সংশ্লিষ্ট সব কাজ আন্তরিকতার সঙ্গে করার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কয়েকবার বৈঠক করেন এবং কাজের ব্যাপারে তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনেন।

এরপর উপজেলা পরিষদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ময়লা-আবর্জনা, বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার নিরসন, ১৫টি ড্রেনেজ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, জলয়ায় ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে নির্মিত দীর্ঘদিনের পরিবেশ দূষণের ২৬১টি ওয়েস্ট বিন থেকে ময়লা অপসারণ করে শহর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সূর্যমনি বেড়িবাঁধে নির্মাণ করা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা, শহরের পুরাতন মাছ বাজার সম্মুখ সড়ক, দক্ষিণ বন্দর ফুটব্রিজ সংলগ্ন জনদুর্ভোগের শিকার খানাখন্দ, বড় বড় গর্ত হওয়া সড়ক ম্যাকাডাম দিয়ে ভরাট করা, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া আসনের সংসদ সদস্য ডা. মো. রুস্তম আলী ফরাজীর বাসার সম্মুখ সড়ক ও মিরুখালী টেম্পু স্টান্ড মেরামত, নতুন করে সড়ক বাতি লাগানো,সাপ্তাহিক হাটের দিন বুধবার দূর-দূরান্ত থেকে আসা পৌরশহরে বেচাকেনা করার জন্য ক্রেতাণ্ডবিক্রেতা যাতে যানজটের কবলে না পরে সে কারণে শহরের মধ্যে ইজিবাইক, সিএনজি, অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেন।

অপরদিকে দুর্ঘটনা এড়াতে চরখালী-মঠবাড়িয়া -পাথরঘাটা মঠবাড়িয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের অংশে সড়কের দু’পাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা মাংস, শাক-সবজি দোকান উচ্ছেদ করেন।

নাগরিক সুবিধা থেকে নাগরিকরা যাতে বঞ্চিত না হয় সে জন্য এসব কার্যক্রম পৌর প্রশাসক নিজেই মনিটরিং করে থাকেন। প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় পৌরকর আদায়ের পাশাপাশি সার্বক্ষনিক পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছালেক সবকিছু দেখভাল করেন। এরই মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগের বকেয়া এক মাসেরসহ চার মাসের বেতন ও দুটি ঈদের বোনাস পরিশোধ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত, বঞ্চিত ও দুর্ভোগের শিকার পৌরবাসী প্রশাসকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও তার বাস্তবায়নের ফলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে।

পৌর নাগরিকসহ বিশিষ্টজনরা সফল এই প্রশাসকের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এ বিষয় পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উর্মি ভৌমিক জানান, পৌরসভা হচ্ছে নাগরিকদের জন্য একটি সেবাদান প্রতিষ্ঠান। নাগরিকরা নিয়মিত পৌর কর প্রদান করছেন। বিনিময়ে তারা নাগরিক সুবিধা পাচ্ছেন। তারা যেন কোনোভাবে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন সেদিকে লক্ষ্য রেখে টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নিয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মঠবাড়িয়া পৌর শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close