পাবনা প্রতিনিধি

  ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ডেপুটি স্পিকারের সংবর্ধনায় সংঘর্ষ আহত ১০

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দলটির দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ব্যাপক চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন কর্মী আহত হয়েছেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে পাবনা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, ঘটনা তেমন কিছু নয়। মিটমাট হয়ে গেছে।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। এদিন দুপুর ১২টার দিকে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবুর সঞ্চালনায় নেতারা বক্তব্য রাখছিলেন। এ সময় নবনিযুক্ত ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর বক্তব্য শুরুর আগে অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলের পেছনের দিকে দাঁড়ানো নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। দুই পক্ষই একে অপরকে চেয়ার ছুড়ছিল। এ সময় কয়েকজন নেতার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। এর কয়েক মিনিট পর দুই গ্রুপের মধ্যেই আবারও শুরু হয় সংঘর্ষ। তখন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনসহ কয়েকজন নেতা তাদের থামানোর চেষ্টা করে। এছাড়াও মাইকে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়। এ নিষেধ উপেক্ষা করেই দুই গ্রুপ আবার চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে অনুষ্ঠানে শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও থানা পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টা তেমন কিছুই নয়, ওই পেছনের দিকে দাঁড়ানো ও ঢোল বাজানো নিয়ে ছেলে-পেলেদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়েছিল, তাছাড়া অন্য কিছু নয়।’

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স এবিষয়ে বলেন, ‘পেছনের দিকে দাঁড়ানো নিয়ে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি, তারপরে একে অপরকে চেয়ার তুলে মারা শুরু করে। সিনিয়ররা গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে, এই আর কী।’

পাবনার সদর থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ওই অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলের পেছনে দাঁড়ানো ও স্লোগান নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে এক ঝামেলা হয়েছিল। পরে নেতারাই তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। তেমন ঘটনা নয়।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close