সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

  ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

শিরোপাজয়ী আঁখিকে বরাদ্দ দেওয়া দ্বিতীয় জমি নিয়েও মামলা

সাফ চ্যাম্পিয়ন শিরোপা বিজয়ী নারী ফুটবলার আঁখি খাতুনকে দেওয়া সরকারি দ্বিতীয় জমি নিয়েও মামলা করা হয়েছে। আদালত ওসিকে ওই জমিতে বিশৃঙ্খলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

এদিকে মামলার নোটিস দিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পারকোলা এলাকায় আঁখি খাতুনের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা আক্তার হোসেনের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। শিরোপা বিজয়ীরা নেপাল থেকে ফিরেছেন বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে। বুধবার রাতে নোটিসটি দিতে আঁখির বাড়িতে যায় পুলিশ। এ সময় নোটিস গ্রহণ করতে না চাইলে আঁখির বাবাকে পুলিশ শাসায় বলে অভিযোগ করেন আঁখির বড় ভাই নাজমুল হাসান।

তিনি বলেন, গত রাতে পুলিশ একটি নোটিস নিয়ে আসে। আমার বাবা নোটিমে স্বাক্ষর করতে না চাইলে খারাপ ব্যবহার করে পুলিশ। বাবাকে থানায় নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে পুলিশ রাতে আঁখির বাড়িতে নোটিস দিতে যায়। নোটিস না নেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরে ঘটনাটি মীমাংসা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সহকারী পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) আঁখির বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ফুটবলার আঁখির জন্য ১ নম্বর খাস খতিয়ানের একটি জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি মকরম প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তি ওই জমির তার দখলে রয়েছে দাবি করে মামলা করেছেন। তবে মামলায় তিনি ওই জমির মালিকানা দাবি করেননি। মামলার তফসিলে খতিয়ানও উল্লেখ করেননি। প্রকৃতপক্ষে আঁখিকে দেওয়া জমিটি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত। যেটা এখনো আমাদের দখলে রয়েছে। আঁখির পরিবার যাতে ওই জমি না পায়, সেজন্য একটি চক্র এ মামলা করিয়েছে।

সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) লুৎফন নাহার বলেন, মামলাটি যখন ফাইলিং হয় তখন বোঝা যায় না জমিটি কার। পরে আমরা বুঝতে পেরেছি, ওটা ১ নম্বর খাস খতিয়ানের জমি। যেটা ফুটবলার আঁখিকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যেকোনো জমি নিয়ে মামলা হতেই পারে। মামলার পর প্রসিডিউর অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উভয়পক্ষকে নোটিস দিতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এখানেও তেমনটাই ঘটেছে। এর আগে আঁখিকে একটি জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেই জমির মালিকানা দাবি করে শাহজাদপুরের একজন ব্যবসায়ী মামলা করেন। পরে বিবাদমান জমির বরাদ্দ বাতিল করে ১ নম্বর খাস খতিয়ানের একটি জমি তাকে বরাদ্দ দেয় স্থানীয় প্রশাসন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close