নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা বাতিলের নির্দেশ রওশনের

জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০ ধারার ১, ২ ও ৩ উপধারার ক্ষমতাবলে দলের চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতাকে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করেছেন বেগম রওশন এরশাদ। এসব বিধান অপব্যবহারের অভিযোগ এনে ধারাগুলো স্থগিত ঘোষণা করেছেন দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক।

পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা ২০-এর উপধারা ১-এ বর্ণিত প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ক্ষমতাবলে বিরোধীদলীয় নেতা বুধবার দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে দেওয়া এক চিঠিতে এ ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তিনি গঠনতন্ত্রের এসব ধারায় এর আগে দল থেকে বাদ দেওয়া মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ সিনিয়র নেতা এবং কমিটি থেকে বাদ দেওয়া নেতাকর্মীদের দলে অন্তর্ভুক্তির জন্য জিএম কাদেরকে নির্দেশনা দেন।

জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বিদেশ থেকে পাঠানো রওশন এরশাদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, সম্প্রতি দলীয় কার্যক্রম পর্যালোচনা করে প্রতীয়মান হয় যে, বিগত দিনে দলের বহু সিনিয়র, অভিজ্ঞ, দায়িত্বশীল পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। যোগ্য ও ত্যাগীদের পদোন্নতি বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে, যা পার্টিকে দিন দিন দুর্বল করার নামান্তর। পার্টির অগণতান্ত্রিক ভাব আবহ সৃষ্টির কারণে নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন এবং ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে পার্টি খণ্ডিত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।

এ রকম একটি পরিস্থিতির অবসানের লক্ষ্যে এবং পার্টি শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে আমার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক এমপি জিয়াউল হক, সাবেক এমপি আব্দুল গাফফার বিশ্বাস; তাছাড়া নবম কাউন্সিলের পর কমিটিতে না রাখা সাবেক মন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ সাত্তার, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, কাজী মামুনুর রশীদ, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম বাচ্চু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, নুরুল ইসলাম নুরুসহ দেশজুড়ে নিষ্ক্রিয় করে রাখা নেতাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close