মো. নিজাম উদ্দিন, বেতাগী (বরগুনা)
সরকারি চাল প্যাকেটজাত করে খোলাবাজারে বিক্রি
বরগুনার বেতাগীতে বেশকিছু দিন ধরে সরকারি চাল বিভিন্ন কোম্পানির নামে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করছিল একটি চক্র। যার নেপথ্যে প্রধান হিসেবে কাজ করতেন স্থানীয় ব্যবসায়ী বেতাগী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মনির হোসেন লাভলু। এমন সংবাদের পর বিভিন্নভাবে প্রমাণ জোগাতে অনুসন্ধান করা হয়।
রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় সংবাদ আসে ডিলার মনির হোসেন লাভলুর পৌর শহরের নিজ বাসার একটি বদ্ধ ঘরের মধ্যে বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের বস্তায় প্যাকেটজাত হচ্ছে সরকারি চাল। বিভিন্ন গণমাধ্যমের ক্যামেরায় ধারণ করা হয় সেই অভিনব প্রতারণার ভিডিও। পরে বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ উপজেলা প্রশাসনের নজরে এলে শুরু হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান।
এদিন বিকাল ৫টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে সরকারি চালের বস্তা থেকে ব্র্যান্ডিং বস্তায় চাল প্যাকেটজাত করার প্রক্রিয়ার সত্যতা পান। এ সময়ে ডিলার লাভলুর মজুদ করা ৩ টনের অধিক (৩ হাজার ২৭৫ কেজি) চাল যা ৮৯টি বস্তা ভর্তি ছিল তা জব্দ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুহৃদ সালেহীন। তবে ব্যবসায়ী লাভলুর দাবি তিনি স্থানীয় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে টিআর, কাবিখার চাল ক্রয় করেছেন। তবে প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী ওই চাল ওএমএস কর্মসূচির।
ভ্রাম্যমাণ অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, জব্দ করা চাল সরকারি এতে সন্দেহ নেই। সরকারি চাল মজুদকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা ও তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
"