চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
চবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের প্রতি অনাস্থা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদকের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে ৩০ জন সহসভাপতিসহ মোট ৯৪ জন নেতা। এ সময় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়নসহ ৩ দফা দাবি জানান তারা।
বুধবার (১০ আগস্ট) চবি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় জানানো হয়।
দাবিগুলো : পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তকরণ, কমিটিতে পদপ্রাপ্ত নেতাদের যোগ্যতা অনুযায়ী যোগ্য স্থানে ক্রমানুসারে পুনর্মূল্যায়ন করা ও ওই কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ। এসব দাবি আদায় না হলে আগস্ট মাসের পর কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, গত ৩১ জুলাই ২০২২ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বহুল প্রতীক্ষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। উল্লেখ্য, দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণার দীর্ঘ ৩ বছর পর এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। যা ২ বছর আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। ওই কমিটিতে রাজপথের পরীক্ষিত ও ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে অযোগ্য ও বিতর্কিত অনেককে স্থান দেওয়া হয়েছে। যা সংগঠনকে ভবিষ্যতে পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দেবে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কাছে আমাদের আকুল আবেদন নি¤েœাক্ত দাবিগুলো বিবেচনা করে যথাযথ সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
আরেক সহসভাপতি বাংলার মুখ গ্রুপের নেতা আবু বকর তোহা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানতে চাই, আমার গ্রুপের যে লিস্ট আমার নেতা আলহাজ আ জ ম নাছির উদ্দিন ভাইয়ের হাত থেকে আপনার হাতে (সেক্রেটারির) হাতে দেওয়া হয়েছিল ওই লিস্টের সবাইকে পদ দেওয়ার অঙ্গীকার আপনি (সেক্রেটারি) করেছিলেন। কিন্তু কমিটি হওয়ার পর দেখা যায় ওই লিস্টের মেক্সিমাম বাদ পড়েছে। এর কারণ কী?
তিনি বলেন, এত ভাই ও বোনকে বাদ দিয়ে গ্রুপটাকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সেক্রেটারি কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছেন, তা আমার বোধগম্য নয়। আমি আশা করব আমি যেটা চিন্তা করছি সেটা সত্য নয়। আমার নেতা আলহাজ আ জ ম নাছির উদ্দিন ভাইয়ের হাতকে এত সহজে দুর্বল করতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার নেতা আলহাজ আ জ ম নাছির উদ্দিন ভাই, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ভাই ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাদার কাছে আবেদন করছি দ্রুত আলহাজ আ জ ম নাছির উদ্দিন ভাইয়ের লিস্টে যাদের নাম ছিল ওই লিস্টের বঞ্চিত সবাইকে তাদের ত্যাগ ও রাজপথের পরিশ্রম বিবেচনা করে পুনরায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি বর্ধিত করে আমাদের ভাই ও বোনদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও রেড সিগন্যাল গ্রুপের নেতা রাকিবুল হাসান দিনার, একাকার গ্রুপের নেতা মঈনুল ইসলাম রাসেল, কনকর্ড গ্রুপের নেতা আবরার শাহরিয়ার, উল্কা গ্রুপের নেতা সুমন খান ও এপিটাফ গ্রুপের নেতা সাজ্জাদ আনাম পিয়নসহ আরো অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
"