নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ আগস্ট, ২০২২

জ্বালানি তেলের দাম অনেক দেশের তুলনায় কম

তথ্যমন্ত্রী

মূল্যবৃদ্ধির পরও দেশে জ্বালানি তেলের দাম ভারতের সমান ও আশপাশের অনেক দেশের তুলনায় কম বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘স্পর্ধিত তারুণ্যের প্রতিচ্ছবি শেখ কামাল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ড. হাছান বলেন, সরকার গত অর্থবছরে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৫৩ হাজার কোটি টাকা বা প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দিয়েছে। আশপাশের দেশগুলো এ ধরনের ভর্তুকি দেয়নি ফলে সেসব দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য অনেক আগেই বাড়ানো হয়েছে এবং তাদের মূল্য আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। পাশের দেশ ভারতে অনেক আগে থেকে ডিজেলের দাম বাংলাদেশি ১১৪ টাকা ও অকটেনের দাম ১৩৪-৩৫ টাকা। আমাদের দেশে মূল্য কম হওয়ায় সীমান্ত দিয়ে প্রচুর জ্বালানি তেল পাচার হয়ে যাচ্ছিল।

সরকারের পক্ষে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয় এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে আমাদের আজকে যে মূল্যবৃদ্ধি, আশপাশের দেশগুলোতে বহু আগেই তারা জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে উল্লেখ করে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে মূল্যবৃদ্ধির পর ডিজেলের দাম এখন প্রতি লিটারে ১১৪, এ দেশি মুদ্রামানে ভারতের কলকাতায় ১১৪, সর্বভারতীয় মূল্য ১১২, চীনে ১১৮, জ্বালানি রপ্তানিকারী দেশ আরব-আমিরাতে লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম ১২৩, নেপাল ১২৭.৮২, ইন্দোনেশিয়ায় ১৩৮.২৪, সিঙ্গাপুরে ১৮৯.৭৮ ও হংকংয়ে ২৬০.৭৫ টাকা। অর্থাৎ আমাদের দেশে মূল্য সমন্বয়ের পরও আশপাশের এসব দেশের চেয়ে মূল্য কম ও ভারতের সমান রয়েছে।

পরিবহন খাতে জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবের বিষয়ে ড. হাছান বলেন, একটি ৫০ সিটের বাসে ৭০% যাত্রী থাকলে প্রতি কিলোমিটারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে মাত্র ২৯ পয়সা। এখন যাত্রীপ্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৮০ পয়সা ভাড়া নেওয়া হয়, এখন ২৯ পয়সা বেড়ে হবে ২ টাকা ৯ পয়সা। সরকার শিগগিরই পরিবহন খাতের সবাইকে নিয়ে বসবে, যাতে কেউ অন্যায় সুযোগ না নিতে পারে। মন্ত্রী এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঠিক তথ্য নিয়ে সরব হওয়ার আহ্বান জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন। বিশেষ বক্তা ছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close