চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শেখ হাসিনা হলের অফিস কক্ষে তালা দিয়েছেন ছাত্রীরা। হলের এক্সটেনশন (বর্ধিত অংশ) খুলে দেওয়া, নতুন কর্মী নিয়োগসহ ৭ দফা দাবিতে বেলা ১১টার দিকে অফিস কক্ষের সামনে অবস্থান নেন ছাত্রীরা। তবে ঘণ্টাখানেক পর হলের প্রভোস্ট তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে ছাত্রীরা তালা খুলে দেন।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্রী খাদিজা আলম বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো প্রশাসনকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত জানিয়ে আসছি। কিন্তু প্রশাসন কর্ণপাত করেনি। তাই আজ ৭টি দাবিতে আমরা অফিস রুমে তালা দিয়েছি। দাবিগুলো হলো দুই কর্মদিবসের মধ্যে হলের বর্ধিত অংশ খুলে দেয়া, নতুন কর্মী নিয়োগ, লাইব্রেরি চালু করা, প্রতিনিয়ত বাথরুম পরিষ্কার রাখা, নোংরা পানি সরবরাহ বন্ধ ও স্টাফদের নির্দিষ্ট পোশাক নির্ধারণ করা।

আন্দোলনে থাকা ছাত্রলীগের উপতথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আফরিন লিমু বলেন, ‘হলে টয়লেটের অবস্থা খুবই খারাপ। অপরিষ্কার থাকায় টয়লেটে যাওয়া যায় না। কর্মী নিয়োগ না দেওয়ায় হলের ভিতরে সবসময় ময়লা-আবর্জনায় সয়লাব থাকে। আজ আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন শুরু করলে হল কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি মেনে নেয়। রোববারের মধ্যে মূল দাবি এক্সটেনশন খুলে দেওয়ার আশ্বাস পেয়েছি। এরপরই আমরা অফিস কক্ষের তালা খুলে দিই।’

শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. রেজাউর রহমান বলেন, ‘হলের ছাত্রীরা আমাদের সন্তানের মতো। তাদের যৌক্তিক এই দাবিগুলো আমারও দাবি। আমি নিজেই তাদের সমস্যা তদারকি করেছি। কিন্তু আমাকে তো সময় দিতে হবে। এ বিষয়ে ভিসি ম্যামের সঙ্গে কথা হয়েছে। উনিও খুব আন্তরিক। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে মেয়েদের সব দাবি বাস্তবায়ন করা হবে।’

"