টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

  ০৫ আগস্ট, ২০২২

টঙ্গী থানার সামনেই কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষ

সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৮

গাজীপুরের টঙ্গীতে চুরি করা লোহা বিক্রির টাকা ভাগাভাগি এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার (৩ আগস্ট) রাতে দুই কিশোর গ্যাং দলের প্রধান রাশেদ খান মেনন এবং এনামুল হক অনীককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) টঙ্গী পশ্চিম থানার পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের বাকি ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

গত মঙ্গলবার রাতে টঙ্গী পশ্চিম থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা ভিডিও করার সময় স্থানীয় সাংবাদিক ও এশিয়ান টেলিভিশনের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি আরিফ চৌধুরীর ওপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। আটক রাশেদ স্থানীয় ছাত্রলীগ এবং এনামুল স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাশেদ ৫৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাজী সেলিম মিয়া এবং অনীক গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হাজী নুর মোহাম্মদ মামুনের অনুসারী বলে জানান স্থানীয়রা। থানার সামনে দুই কিশোর গ্যাংয়ের মারামারির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি কাঁঠালদিয়া বস্তির উচ্ছেদ করা জায়গায় স্টিল করপোরেশনের নির্মাণাধীন ভবনের বিপুল পরিমাণ লোহার রড চুরি হয়। ওই লোহা বিক্রির টাকার ভাগাভাগি নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই রাশেদ ও এনামুল গ্রুপের মাঝে বিরোধ চলে আসছে। আগে থেকে এ দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার এবং মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধ রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় টঙ্গীর মিত্তিবাড়ি এলাকায় দুই গ্রুপের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে উভয় গ্রুপ একই সময়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানা ফটকের সামনে তাদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এ সময় সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করায় স্থানীয় সংবাদকর্মী আরিফ চৌধুরীর ওপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। তারা আরিফের মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও পরিচয়পত্র নিয়ে নেয়। এ ঘটনায় আরিফ বাদী হয়ে গত বুধবার বিকালে টঙ্গী পশ্চিম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

সাংবাদিক আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘রাতে দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনার ভিডিও ধারণ করার সময় আশরাফুল ইসলাম বাবু আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে কিশোর গ্যাংয়ের অন্য সহযোগীরা আমাকে কিলঘুষি মেরে আমার সঙ্গে থাকা অপর একটি মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও এশিয়ান টেলিভিশনের পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় থানা পুলিশের টহল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ করে তাদের তাড়িয়ে দেয়। টঙ্গী পশ্চিম থানার (ওসি) শাহ আলম জানান, কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close