চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ০৪ আগস্ট, ২০২২

জঙ্গল সলিমপুর-আলীনগরে ৭০০ একর জমি উদ্ধার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় জঙ্গল সলিমপুর ও আলীনগর এলাকায় অবৈধ বসতি উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। উদ্ধার করা হয়েছে ৭০০ একর পাহাড়ি জমি। আলীনগর এলাকা থেকে ১৭৫টি স্থাপনাও এ সময় উচ্ছেদ করা হয়।

বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। ওই এলাকায় সরকারের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের আওতায় সেখানে বিভাগীয় পাহাড় ব্যবস্থাপনা অফিস, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, স্পোর্টস ভিলেজ, সাফারি ও ইকোপার্ক, র‌্যাব ও পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পের সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়।

উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোমিনুর রহমান বলেন, সরকার সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর নিয়ে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে এ উচ্ছেদ অভিযান। আগামী এক মাসের মধ্যে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। কাউকে পাহাড় কাটতে দেওয়া হবে না। সরকারি জায়গায় একটি পরিকল্পিত নগরী হবে। আর যারা অবৈধভাবে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে তাদেরও পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানান্তর করা হবে।

এদিকে অভিযান শেষে ফেরার পথে অভিযান পরিচালনাকারী টিম বাধার মুখে পড়ে। এলাকায় বসবাসকারীরা মানবঢাল হয়ে বাধা দেন। এতে জেলা প্রশাসকসহ অভিযানে অংশগ্রহণকারী টিম এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আটকা থাকেন। এ সময় বাধা প্রদানকারীরা

অভিযোগে বলেন, জেলা প্রশাসন কোনো ধরনের নোটিস ছাড়াই তাদের স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে। পরে অবস্থান নেওয়া লোকজনের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা সরে যান।

অভিযানে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মফিদুল আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক বদিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মাসুদ কামাল, সীতাকুণ্ডের ইউএনও মো. শাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. তৌহিদুল ইসলাম, সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম, অফিসার্স ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদসহ ৭০ জন পুলিশ, ৪০ জন র‌্যাব ও ৬০ জন আনসার সদস্য।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close