আবদুর রহমান, নেত্রকোনা

  ০৩ আগস্ট, ২০২২

শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবিতাকুঞ্জ

স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য কবি নির্মলেন্দু গুণের জন্মস্থান নেত্রকোনা জেলা শহরের মালনী এলাকায় মগড়া নদীর তীরে প্রতিষ্ঠিত ‘কবিতাকুঞ্জ’ শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে।

শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রফিকউল্লাহ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি মঙ্গলবার (২ আগস্ট) জানান, গত শনিবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উপাচার্য আরো জানান, স্বাধীনতা পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কারে ভূষিত কবি নির্মলেন্দু গুণ নেত্রকোনায় মগড়া নদীর তীরে ‘কবিতাকুঞ্জ’ নামে প্রতিষ্ঠানটি করেছেন। কবির নিজ জেলায় গড়ে তোলা এ প্রতিষ্ঠানকে কবি বিশ্বকবিতার বাসগৃহ হিসেবে তুলে ধরেছেন। এ গৃহে অন্তত ৯০ দেশের কালজয়ী কবিদের রচিত প্রায় দুই হাজার কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায়, বিভিন্ন সময়ে রচিত কাব্যসম্পদ নিয়ে তুলনামূলক গবেষণার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।

ড. রফিকউল্লাহ খান বলেন, সম্প্রতি কবির পক্ষ থেকে কবিতাকুঞ্জকে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যলয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। এ প্রস্তাবে বাংলা সাহিত্য ও ইংরেজি সাহিত্যের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে তুলনামূলক সাহিত্য ও বিশ্বকাব্যকে একটি অন্যতম বিষয় হিসেবে চালু করার বিবেচনায় প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়। অনুমোদন রেজুলেশনটি সিন্ডিকেট সভার ১০ জন সদস্যের সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

এদিকে কবি নির্মলেন্দু গুণ জানান, তার অবর্তমানে কবিতাকুঞ্জ একটি অভিভাবকহীন প্রতিষ্ঠানে যেন পরিণত না হয়; সেই লক্ষ্যেই তিনি শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কবিতাকুঞ্জের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কবি নির্মলেন্দু গুণ তার ওই প্রস্তাবে উল্লেখ করেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ৮ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে ২০১৬ সালে বিশ্বকবিতার বাসগৃহ হিসেবে কবিতাকুঞ্জ নামে প্রতিষ্ঠানটি তিনি গড়ে তোলেন। ওই বছর তিনি স্বাধীনতা পুরস্কারের যে অর্থ পেয়েছিলেন, সে অর্থ ব্যয় করেন কবিতাকুঞ্জ গড়ার কাজে। প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলতে প্রয়োজনের তুলনায় এ অর্থ কম থাকায় তখন তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তার বহু অনুরাগী-সুহৃদ এই প্রতিষ্ঠানে অর্থসহায়তা দিয়েছেন। কবিতাকুঞ্জের দেয়ালে অর্থসহায়তা প্রদানকারীদের নাম ও তাদের দেওয়া অর্থের পরিমাণ তিনটি ডোনার বোর্ডে লিপিবদ্ধ রয়েছে। চতুর্থ ডোনার বোর্ডটি এখন প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। তারা সবাই কবিতাকুঞ্জের সম্মানিত সদস্য হিসেবে গণ্য হন এবং ভবিষ্যতেও হবেন। অর্থসহায়তা ছাড়াও যারা কবিতাকুঞ্জকে বিভিন্ন দেশের কাব্যগ্রন্থ এবং কাব্যবিষয়ক আলোচনাগ্রন্থ দিয়ে কবিতাকুঞ্জের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করেছেন, তারাও কবিতাকুঞ্জের সম্মানিত সদস্য আছেন এবং থাকবেন। নেত্রকোনায় প্রতিষ্ঠিত শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলে কবিতাকুঞ্জ প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন সম্ভব ও সহজ হবে। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট সভায় আবেদনটি অনুমোদিত হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close