নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৩ আগস্ট, ২০২২

ওবায়দুল কাদেরের বিবৃতি

বিদ্যুৎ-জ্বালানি নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে

দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে বিএনপি অব্যাহত ‘মিথ্যাচার’ করছে বলে দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘প্রকৃত সত্য হচ্ছে, দেশে তেল (জ্বালানি তেল) মজুদ রয়েছে ৪০ দিনের। এছাড়া তেলবাহী জাহাজ বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় আছে।’

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরে আসা দলীয় সাধারণ সম্পাদকের এই বিবৃতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে গত এক যুগের অগ্রগতিও তুলে ধরা হয়।

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বে জ্বালানির বাজারে অস্থিরতার মধ্যে সংকটে পড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে আনাসহ জ্বালানি সাশ্রয়ে নানা পদক্ষেপ নিতে হয়েছে সরকারকে।

এতে বিদ্যুতে লোডশেডিং ফিরে আসায় একে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখাচ্ছেন বিএনপি নেতারা। এর জবাবে বিবৃতিতে কাদের বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরে শেখ হাসিনা সরকার বৈপ্লবিক সাফল্য দেখিয়েছে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের মধ্য দিয়ে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হয়, তখন দেশে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ২২০ কিলোওয়াট, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৫৬০ কিলোওয়াটে।’

২০০৯ সালের শুরুতে যেখানে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতাভুক্ত ছিল মোট জনসংখ্যার ৪৭ শতাংশ, এখন তা শতভাগে উন্নীত হওয়ার হিসাবও দেন তিনি।

কাদের আরো বলেন, ২০০৯ সালের শুরুতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ২৬৭ মেগাওয়াট। বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াট।

২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮ লাখ, ২০২২ এর এপ্রিলে তা বেড়ে ৪ কোটি ২৭ লাখ হওয়ার হিসাবও দেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটি মতলবি মহল ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ভুয়া জিগির তুলছেন। প্রকৃতপক্ষে, ভারত থেকে দেশে আমদানিকৃত বিদ্যুতের পরিমাণ মোটের ওপর মাত্র ১০ শতাংশ।

দেশে ৪০ দিনের তেল মজুদ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ কেউ বলছেন, দেশে নাকি ১৩ দিনের অকটেন এবং ১৭ দিনের পেট্রলের রিজার্ভ আছে। অথচ প্রকৃত সত্য হলো, সামান্য পরিমাণে বুস্টার ছাড়া দেশে অকটেন ও পেট্রল আমদানি করা হয় না। প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রের কনডেনসেট থেকে রিফাইন করে পেট্রল ও অকটেন তৈরি করা হয়।

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি নিয়ে যারা কথা বলেন, প্রকৃতপক্ষে তারাই দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের সুষ্ঠু নীতি ও সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা না থাকলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত করা সম্ভব হতো না। সরকারের এ সাফল্যে বিএনপি ঈর্ষান্বিত হয়ে বরাবরের মতো নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close