মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পটুয়াখালী

  ০৭ জুলাই, ২০২২

পটুয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ৮ জুলাই। এ ক্যাম্পাস নিজস্ব ঐতিহ্য ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে এরই মধ্যে প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে পদার্পণ করতে যাচ্ছে গৌরবময় সাফল্যের ২২ বছরে।

২০০০ সালের ৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় সাবেক পটুয়াখালী কৃষি কলেজের অবকাঠামোতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিজ্ঞানমুখী শিক্ষার প্রসার, উচ্চশিক্ষার সুযোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যথাযথ গুরুত্ব প্রদানসহ গবেষণার সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি ও কৃষি ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, ২০০০ সালে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণাঞ্চলে উচ্চশিক্ষার যে বীজ রোপণ করেছিলেন তা আজ দখিনের আলোর বাতিঘর কেবল নয়, দেশের গ-ি ছাড়িয়ে বহির্বিশ্বেও আলো ছড়াচ্ছে। একটি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কৃষি, বিজ্ঞান, প্রকৌশল আর প্রযুক্তি শিক্ষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। আধুনিক ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কয়টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন তার মধ্যে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম রুবেল জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রাগ্রসর অবদানের জন্য আজ দেশ-বিদেশে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে। প্রাথমিকভাবে কৃষি, সিএসই ও বিবিএ ৩টি অনুষদে ছাত্রছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় যা সময়ের পরিক্রমায় আজ ৮টি অনুষদের অধীনে (কৃষি অনুষদ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুষদ, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ, এনিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদ, নিউশিন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স অনুষদ এবং ল অ্যান্ড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুষদ) শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এই ৮টি অনুষদের অধীনে ৯টি ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। ৮৯.৯৭ একর আয়তনের ওপর প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে স্নাতক পর্যায়ে ৩৬৯১ জন, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৪৫১ জন এবং পিএইচডি পর্যায়ে ২৪ জন ছাত্রছাত্রী অধ্যয়নরত আছে। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২৫৩ জন শিক্ষক, ১৮৩ জন কর্মকর্তা ও ৫২৯ জন কর্মচারী নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা প্রদানের জন্য ৫টি ছাত্র হল এবং ৩টি ছাত্রী হল রয়েছে।

ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, সেশনজটমুক্ত এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরি করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পবিপ্রবির কৃষি অনুষদের শিক্ষকরা দেশের কৃষিতে সমৃদ্ধি আনয়নকল্পে ফসলের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করে তা কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close