নিজস্ব প্রতিবেদক

  ৩০ জুন, ২০২২

শতভাগ উৎসব ভাতাসহ ১১ দফা দাবি শিক্ষকদের

শতভাগ উৎসব ভাতা, মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় সারা দেশে শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদও জানায় শিক্ষক সমিতি।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি বজলুর রহমান মিয়া। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমিতির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বাবু রঞ্জিত কুমার সাহা, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কাশেম, সহসভাপতি আলী আসগর হাওলাদার ও বেগম নূরুন্নাহার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জামিল মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ-মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শাহানা বেগম, সহ-দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য প্রবীর রঞ্জন দাস, আজম আলী খানসহ শিক্ষক নেতারা।

সম্প্রতি ঢাকার সাভারে শিক্ষক হত্যা, নড়াইলে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানো এবং বগুড়া, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতষ্ঠানে শিক্ষকদের নির্যাতন ও লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদ জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এসব ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি।

এছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের শতভাগ উৎসব ভাতাসহ মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের লক্ষ্যে ১১ দফা দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। লিখিত বক্তব্যে সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ চিকিৎসা ভাতা পান। অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকা পাওয়ার আগে অর্থাভাবে বিনাচিকিৎসায় মারা যান। এছাড়া কয়েক বছর ধরে কোনো সুবিধা না দিয়েই অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে অমানবিকভাবে বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের কোনো বদলি ও পদোন্নতির সুবিধা নেই। আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে পাহাড় সমান বৈষম্য। এছাড়া বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের একধাপ নিচে।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলেন, এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরির বয়স ৬৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের চাকরির বয়স আগের মতোই রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close