রাবি প্রতিনিধি
রাবিতে শিক্ষক লাঞ্ছিত, শিক্ষার্থী বহিষ্কার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ক্লাস চলাকালীন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অ্যাকাডেমিক ভবনের আইন বিভাগের একটি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক হলেন অধ্যাপক ড. বেগম আসমা সিদ্দিকা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী হলেন একই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আসিক উল্লাহ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ক্লাস চলাকালীন ছাত্র আশিক উল্লাহ তার মাস্টার্সের পরীক্ষা-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওই শিক্ষকের কাছে আসেন। তখন তিনি ওই শিক্ষার্থীকে বলেন, এগুলো আমার বিষয় নয়, এগুলো বিভাগের চেয়ারম্যানের বিষয়। এটা বলে তিনি ক্লাস থেকে বের হতে চাইলে ক্লাসের দরজা বন্ধ করে দেন আশিক উল্লাহ। এতে ক্লাসের ভেতরে থাকা শিক্ষার্থীরা ক্ষেপে যান এবং শিক্ষককে বের করে বিভাগের চেয়ারম্যানের রুমে পৌঁছে দেন।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে বিভাগের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্র্থীরা। পরে দুপুরে শিক্ষার্র্থীদের আন্দোলন ও দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটি ও সিন্ডিকেট রিপোর্ট সাপেক্ষে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, এর আগেও এই শিক্ষার্থী বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্র্থীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা রকম মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে বিভাগের ইমেজ নষ্ট করেছে। সে দীর্ঘদিন ধরে নানা বিশৃঙ্খলা করে আসছে। যার কারণে বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির মাধ্যমে তার অপকর্মের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছিলাম। এর আগের তদন্তের রিপোর্ট এবং আজকের বিষয়টি আমলে নিয়ে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, এর আগে এই আসিক উল্লাহ তারই এক সহপাঠীকে অপহরণ করে মারধর করে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নূরের বাসায় এক রাতে ঢুকে ফেসবুক লাইভে এসে তাকে নিয়ে অশোভন কথাবার্তা বলে ওই শিক্ষার্থী।
"