গাজীপুর প্রতিনিধি

  ২৫ জুন, ২০২২

বললেন ব্রির মহাপরিচালক

তিন বছরেই তেলের আমদানি ৪০ ভাগ কমানো সম্ভব

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) শস্য বিন্যাস উন্নয়নের যৌথ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে তিন বছরেই তেলের আমদানি ৪০ ভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। গাজীপুরে ব্রির প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত শস্য বিন্যাস উন্নয়ন ও ফসলের জাত নির্বাচন পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

কর্মশালায় ব্রি মহাপরিচালক বলেল, ধান আমাদের প্রধান খাদ্য শস্য। তাই ধাননির্ভর খাদ্য নিরাপত্তার কোনো ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না। সেটি নিশ্চিত রেখে অন্যান্য ক্যাশ ফসল উৎপাদন করার জন্য আমরা ব্রি ও বারি যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আশা করি এই পদক্ষেপের ফলে উফশী ধানের শস্য বিন্যাসে সরিষা, পেঁয়াজসহ অন্যান্য দামি ফসলের আবাদ এর মাধ্যমে অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে দেশের ৮৮ শতাংশ তেলের চাহিদা আমদানিনির্ভর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই যৌথ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে আগামী তিন বছরেই তেলের আমদানি ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

একই কর্মশালায় বারির মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, ধানের উৎপাদন অক্ষুণ্ন রেখে অন্যান্য দামি ফসল যেমন- তৈলবীজ, ফলমূল ও শাকসবজি চাষ বাড়াতে হবে যাতে চালের পাশাপাশি অন্যান্য ফসলেও আমরা স্বনির্ভর হতে পারি। কেননা করোনাকালে অনেক দেশ খাদ্য আমদানিতে হিমশিম খেয়েছে। টাকা থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় আমদানি করা যায় না। তাই আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে প্রয়োজনীয় সব ফসলে আমাদের স্বনির্ভর হতে হবে। আমরা সে লক্ষ্যে ব্রি-বারি এই যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

এতে ব্রি-বারির গবেষকরা জানান, প্রচলিত শস্য বিন্যাসে আধুনিক উফশী ধানের জাতের পাশাপাশি তৈল ফসলসহ অন্যান্য ক্যাশক্রপ বা দামি ফসল সন্নিবেশে ক্ষেত্রে কৃষকদের সহযোগিতা করতে পরস্পর যৌথভাবে কাজ করবে দুই গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা।

ব্রির পরিচালক (গবষেণা) ড. মো. খালেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রির পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো. আবু বকর ছিদ্দিক, পরিচালক (তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো. আবদুল লতিফ আকন্দ, বারির পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. ফেরদৌসি ইসলাম, ব্রির রাইস ফার্মিং সিস্টেম বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় প্রধান ড. মুহম্মদ নাসিম। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রির রাইস ফার্মিং সিস্টেম বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ইব্রাহিম এবং বারির সরেজমিন গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাজহারুল আনোয়র। পরে উভয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে দেশের ১৪টি অঞ্চলের শস্য বিন্যাসে আরো কী কী ফসল অন্তর্ভুক্ত করা যায় সে বিষয়ে সাতটি দলগত কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close