মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

  ২০ জুন, ২০২২

পাহাড়ধস থেকে রক্ষা পেতে ৩২ পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে

চট্টগ্রামে নগরীতে পাহাড়ধসের ঘটনায় চারজনের নিহতের পর জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত ৩২টি পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে। অপরদিকে চট্টগ্রামে কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টি এখনো থামেনি। থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। নগরীর বিভিন্ন অংশে পানি কিছুটা সরে গেলেও এখনো অনেক এলাকা জলমগ্ন রয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। গতকাল রবিবার দুপুরে পূর্ব ফিরোজশাহ ১ নম্বর ঝিল এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরতদের উচ্ছেদ অভিযানকালে তিনি বলেন, যদি কেউ এ সীমানা ভেঙে বসতি গড়ে তুলে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র‌্যাব, পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও সহকারী কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন পাহাড়ে গিয়ে সতর্কতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি আমরা। ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করেছি আমরা। কিন্তু বারবার অনুরোধের পরও লোকজনকে সরানো যাচ্ছে না। সেখানে পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চারজনের মৃত্যুর পর আমরা সংশ্লিষ্ট পাহাড়গুলোতে অভিযান চালিয়ে ৩২টি পরিবারকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছি।

পাহাড় থেকে সরিয়ে এসব পরিবারের সদস্যদের নগরীর বিশ্বকলোনি এলাকায় কোয়াড পি-ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফিরোজশাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালখানবাজার এলাকায় ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুল এবং হাজী হজরত আলিয়া মাদরাসায় রাখা হয়েছে বলে তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।

এর আগে গত শুক্রবার রাতে নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকায় দুটি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নিহত ও দুজন আহত হন। নগরীর ফিরোজ শাহ কলোনির এক নম্বর ঝিল বরিশালঘোনা এলাকায় পাহাড়ধসে মারা যান শাহীনূর আক্তার (২৬) ও তার বোন মাইনুর আক্তার (২৪)। ফয়’স লেক সংলগ্ন সি ওয়ার্ল্ডের পাশে বিজয়নগর এলাকায় আরেকটি পাহাড়ধসে লিটন (২৩) ও ইমন (১৪) নামে আরো দুজন মারা যান।

এদিকে, সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নগরীতে লাগাতার বৃষ্টিতে সৃষ্ট কৃত্রিম জলাবদ্ধতায় সড়কের পানি সরলেও নগরীর অনেক এলাকা বিশেষ করে বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, বাকলিয়া প্রভৃতি এলাকায় বাসা-বাড়িতে প্রবেশ করা পানি এখনো সরেনি। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস রবিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত ১০৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বলে জানায়। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বহু এলাকা হাঁটু পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। দীর্ঘসময় ধরে পানি সরছে না এসব এলাকা থেকে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close